কুনো বউ
             অচিন্ত্য সরকার


হিংশুটি খুনোব্যাঙ জ্বলে মরে রাতদিন,
এই বুঝি খেলো সব,বুড়ি শ্বাশুড়ি ক্ষীণ।
মাংসটা টিপে টিপে এক পিস দেয় তারে,
ডেচকির মাংসোটা মায়ে পোয়ে সাবারে।
মাছের এক পিস,আগে থেকে ছোট কাটে,
আলাদা রাখে সেটা,দেবে শাশুড়ির পাতে।
নিজেরা খাবার বেলা জোড়া জোড়া ডিম,
শ্বাশুড়ির পাতে পড়ে,ঘোড়ার মস্ত ডিম।
সিঁড়ির আঁধার কোণে,পড়ে থাকে বুড়িটা,
কুনো রাঙায় চোখ,মারে জোরে তুড়ি টা।
শ্বাশুড়ির লাগলে ওষুধ,কুনো মরে জ্বলে,
বহু টাকা বেঁচে যাবে,শ্বাশুড়ি টা মরলে।
কোলা ব্যাঙের শান্তি নেই,মনে মনে মরে,
সত্যিটা বলতে গেলেই,অশান্তি হবে ঘরে।
অশান্তি হলে সংসারে,মান যে তারই যায়,
এই ভয়ে সোনা ব্যাঙ,মুখ বুজে সয়ে যায়।
এত সব দেখে সয়ে,রোগ ধরেছে তার বড়,
আগের দাপট ছেড়ে,হয়ে গেছে জড়সড়।
কুনো ব্যাঙের মনটা,ত্বকের চেয়েও কালো
রোজ কুনো ক্রিম মাখে,ত্বক করতে ভালো
মনে মনে সোনা ভাবে,মন টা করলে সাদা,
সবাই সুখী হতো,ঘুচে যেত ত্বকের কাদা।
সোনা ব্যাঙের সব গুণ ঘরে এলে জিরো,
গোয়ার মুর্খ কুনো,ছলে বলে হয় হিরো।
কখনো ভাবে সোনা,ফেলে যাবে সব কিছু
সন্তান আর মান,বেঁধে রাখে তারে পিছু।
কুনোর নীচুতা,সে মুখে বলতে পারে না,
ঘেন্নায় তার সাথে,কথা বলতেই চায় না।
কুনোর যায় না তাতে,এসে কোন কিছু।
খাওয়া,শোয়া,সিরিয়াল,এই সব কিছু।
মন,বিবেক তার কাছে,এমন কিছুই নয়,
একটাই চিন্তা,ফর্সা কি করে হওয়া যায়।
টেনশন করে সোনা,অসুস্থ হলো শেষে,
সোনার সোনার ঘর,কুনো জুড়ে বসে।
সোনা বলে,মা তুমি,ক্ষমা করো দুর্বলতা,
ভাঙার ভয়ে,ব্যর্থ আমার,সব সফলতা।