মুচকি হেসো
              অচিন্ত্য সরকার


মনে হয় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে
এক নির্জন দ্বীপে একা বসে ঢেও গুণী।
কোন সন্দেহ,অবিশ্বাস,প্রত্যাশা,দেওয়া,
নেওয়া,মান,অভিমান,হিসেব,নেই।
মনে আর মুখে মুখোশের ধাঁধা নেই।
অনাদি অনন্ত বিস্তৃত ঔদার্য
যেন এক নিরাপদ,অনাবিল প্রশান্তি।
বিপদ আছে,তবে সামনা সামনি সততায়,
নেই মানুষী ভন্ডামী,অসত্য আর অন্যায়
মানিয়ে চলার অসহ্য ভোগান্তি।


বিছানায়,বারান্দায়,অফিসে,রাস্তায়,
বাজারে,হাতপাতালে,মর্গে,খবরে,
  হোয়াটসঅ্যপে,ফেসবুকে,জলে,স্থলে,
আকাশে,শ্মশানে,কবরে,রাত্রদিন...
ঠিক বেঠিকের দোলাচলে গা ঘিন ঘিন।
অপরিণত মন ধোকা খায় অনুক্ষণ,
তাই মন নিতে চায় স্বেচ্ছা নির্বাসন।


আমি একা তোমাদের সভ্য সমাজে
না থাকলে,তোমাদের কোন অসুবিধা
হবার কথা নয়।তবু যদি কারো রাগ হয়,
হার্ট হয় তোমাদের ইগো,আমাকে
ধম্ম পুত্তুর যুধিষ্ঠির বলে গাল দিও,
তুমি মেরে,যা ইচ্ছা ছিড়ে বা মেরে নিও।


তোমরা একই বাজেটকে সকালে জনমুখি,
বিকেলে জনবিরোধী বলে যুক্তি দাও।
সকালে আইন করে,সন্ধ্যে হলে তাকেই
দুধ কলা মেখে তারিয়ে তারিয়ে খাও।
ন্যায়, নীতি,সংবিধান,মানবিকতা
সব কিছুকে সুবিধে মতো গিরগিটি করে
সংখ্যা তত্ত্বের হিসেব কষো।
ফোনে এক,মুখে এক, মনে এক,
মাথায় এক, খাতায় এক, চোখে এক,
হাতে এক,ইশারায় এক,ঈঙ্গিতে
আর এক রেখে,ব্যালান্স করে,এলেম দেখিয়ে
পরিনত বুদ্ধির জোরে,ম্যানেজ করে সফল হও।


আমি না হয়,অপরিনত হয়ে ব্যর্থ হলাম,
ঠকে গেলাম।মানাতে না পেরে নির্বাসিত হলাম।
তোমরা তর্ক করে টি.আর.পি. বাড়াও,
আমার মতো গোঁয়ারকে কৌশলে তাড়াও।


কখনো তোমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজে
আমার প্রসঙ্গ উঠলে,চোখ রাঙিয়ে দেখিও হেঁসো।
  তাতেও না হলে,আমাকে ইমপ্রাকটিকাল,
অহংকারী,ইমোশানাল ফুল বলে,মুচকি হেসো।