পিস্তল চাই
             অচিন্ত্য সরকার


আমার সব কবিতা গুলো নিঃশর্তে দেবো
যদি সঠিক আস্বাস দাও,বদলে তাদের
বুলেটে বুলেটে ভরা মারণ পিস্তল পাবো।


দিয়ে দেবো আমার পাওয়া সব শংসাপত্র,
আমার আবেগ মেশা আদর্শ স্বপ্নচারিতা
সব নিয়ে দাও আমায় অসুর নিধন অস্ত্র।


চাই না আমার কবি সত্ত্বা,অকেজো সব।
পিছোন দিকে ছুটে চলা জাতি বোঝে শুধু
দেওয়ালের জোর ধাক্কা,বোঝে না ও সব।


অনেক কবিতা লিখেছি,মনুষত্বের গানে,
মানুষে ভরসা রেখে।ভাগাড়ের শকুনের
কাছে তাদের আছে কি এতটুকু মানে?


বোঝে যারা,তারা সংখ্যালঘু,অভুক্ত,ভীতু,
সবংসহা হয়ে আছে,সততার দুর্বলতায়।
বেঁচে আছে এক কোণে,মাথা করে নীচু।


কৃষ্ণের প্রেমের বাঁশি শোনেনি কৌরব,
আমি কোন ছার,অখ্যাত মানুষ কবি,
সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখে,ছড়াই সৌরভ?


ক্ষমতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে কবিতার যত বাণী,
আবেগী ভোটার ভোলাতে হয়ে ওঠে সব
কৌশলি বক্তার মুখে মুখে মিথ্যে কাহিনী।


খবর জুড়ে থাকে রোজ বুলেটের জোর,
মেরেছে মরেছে কারা,খুন আর ধর্ষণ,
মিথ্যের বেসাতী তর্ক,চলে দিন ভোর।


যে যার আপন স্বার্থে উদ্ধৃতি দিয়ে চলে,
ভুল-ভাল্ বাঁকা চোরা,যে যেমন পারে
সত্যের গতি রুদ্ধ ক্ষমতার ছলে বলে।


চোখ বাঁধা বিচারের কালো কালো কোট,
জটিল প্যাঁচের ফাঁসে হাসফাস দম
জোট বদ্ধ ক্ষমতার আজও চুমে ঠোঁট।


এক যুগে পাওয়া একটা সঠিক বিচার
সেও তো কবিতার মতো অমায়িক দুর্বল,
কার্যকরি করতে চাই সেই ছল ক্ষমতার।


শান্তির কবি যত,রয় ভূখা আর অজ্ঞাত,
ম্রিয়মান ভদ্রলোক মান বাঁচাতে ব্যস্ত
জীবন ভর বুকে বয়ে নিয়ে চলে ক্ষত।


সৎ মানুষের দুর্বলতায় কেঁদে ওঠে প্রাণ
অস্থির লাগে,কলম-তরবারি ব্যর্থ কাঁদে
সুস্থতা হারাই,সইতে না পেরে অপমান।


তাই চাই না আর কবিতার নিষ্ক্রিয় বুলি
ক্ষমতা অসুরের কাছে যা তুচ্ছ অকেজো।
সত্যের পক্ষ নিয়েই চালাতে চাই গুলি।