তোমার যত সব ছেলেমানুষি আবদার
কিযে বলো,ছাইপাশ মাথামুন্ড আছে কি!
শক্তিশেলের যন্ত্রণা অনুভবে কবিতা
সময় দেবে না একটি বারও ভাববার,
তা কি হয়?আমি কি মহাকবি বাল্মীকি?


দেখো,পাথর-চাপা বীজের মত বহুকষ্টে
মাথা তুলেছি কাঙ্ক্ষিত আলোর দিকে;
মনে পড়ে, ছাগলে মুড়িয়ে দিয়েছে বহুবার
সুবর্ণ সময় গেছে ক্ষত সারাতে,তবু আজও
এই আমি, বেঁচে আছি ক্যাক্টাসি সূর্য্যমুখি!


ভালোবাসা এসেছে ধুলোভরা পথ বেয়ে
বিলাসিতায় কিংবা রঙিন মোড়কে নয়,
বাঁচার একান্ত অপরিহার্য্য রসদের হাত ধরে।
তাই আলাদা করে তাকে যত্ন করা হয়নি
নিজেও কখন তা পাওয়ার প্রত্যাশা করেনি।


আমি বোধ হয় বড্ড সেকেলে ও অন্তর্মুখি।
মুখে বলতে লজ্জা,তবু বুঝি সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম সব  
তাই হাটুগেড়ে রাজকীয় প্রস্তাব,লাল গোলাপ
কিংবা তিরবেঁধা হৃদয় চিহ্ন কোনটাই ছাড়া
আমার রোমান্টিকতা শুধু তোমার অনুভব।


বুকের পাঁজর পেরিয়ে ক’জন আর হৃদয় পড়ে!
তাই এসবের প্রয়োজনও আছে। হয়ত তাই
মধুসূদন কেও লিখতে হয়েছিল সমাধি ফলক;
আমার আটপৌরে ভালবাসায় নেই কোনটাই
তোলা শাড়ির যত্ন কিংবা হঠাৎ আবেগ-ঝলক।


প্রকোষ্ঠ হারা হৃদয় যখন করে জীবন পরখ,
সুনামী বন্যার ফেনায় ফেনায়  রক্তের বরফ।