শিশু ছড়া (৪১-৫০)
      অচিন্ত্য সরকার


             [৪১]
এই পৃথিবীর বিশাল ঘরে
সূর্য্য দিল আলো,
চাঁদ আর তারা মিলে
ঘুচালো সব কালো ।


মেঘের বুকের শক্তি ধরে
আলো জ্বললো তারে,
বাতাস দিল প্রান বায়ু
শুদ্ধ রাখো তারে ।


         [৪২]
সাবুজ পাতার বুকে
গাছ করে রান্না
ছেড় যদি পাতা তবে
গাছ খেতে পান না।


গাছের ফসল নিয়ে
আমরা তো খাই
গাছ যদি মরে যায়
বাঁচবো না ভাই ।


তাই বলি গাছ লাগাও
দাও গাছে জল,
বিশুদ্ধ বাতাস পাবে
পাবে নানা ফল ।


ফুল পাবে ,কাঠ পাবে
পাবে শান্তি ছায়া,
গাছের মত বন্ধু আর
কেও নেই ভায়া ।



       [৪৩]
বিপাশার ‘বি’ কাট
খেলতে চাইলে পাশা
বিদিশার ‘বি’ কাট
হারা হলে দিশা ।


আগুন এর ‘আ’ কাট
চাও যদি গুন’
তার আগে ‘ফা’ বসাও
চাইলে ফাগুন ।


পবন এর ‘প’ কাট
দেখতে চাইলে বন
আমন এর ‘আ’ কাট
চাও যদি মন।



           [৪৪]
হাড়ি মুখো মেনি- খাবে লেদিকেনি?
তরতরে ঝরঝরে  টাটকা।
সমীরের মালপো- নয়তো সে ফালতো
কারবার নয় তার ফাটকা।


পাকা পাকা আম- রসা রসা জাম
চাও যদি পবে আনারসও ।
সরবৎ তেতুলের- দানা ভাজা কাঁঠালের
এক ভাড় খেজুরের রসও ।


মেনি,শুনে রাখো- যতই হাড়ি মুখে থাকো
তবু তুমি আমিষ টা পাবে না ।
হরি ধ্যানে থাকো- তার নাম ডাকো,
কুল মান খোয়ানো তো যাবে না।


                                                                                          
           [৪৫]
                                                      
      বড্ড সরু পা দুটো
                                                          
        ভারি ব্যাকা গলা টা,
                                                    
         দেখতে লাগে বিশ্রী
                                                            
        যেন হ্যালা ফ্যালা টা।


   কি করি ভাবে বক
                                                            
             আঁটে নানা ফন্দি,


          আনমনে ভাবতে গিয়ে
                                                                   
             হয়ে গেল বন্দি ।



[৪৬]
কুনো ব্যাঙের সাধ হয়েছে
ত্বক করবে ফর্সা,
অ্যালো্প্যাথি সয় না তাই,
জড়িবুটি ভরসা ।


সাধ ছিল তার সোনা হবে
হয়ে গেল কুনো,
মান সন্মান রইল না আর
সবাই বলে বুনো ।


জড়িবুটি কাজ যদি দেয়
নেই  কোন আর চিন্তা,
ফর্সা যদি হয় একবার
নাচবে তা ধিন্, ধিন্ তা


                [৪৭]
গায়ে কাঁটা শুয়ো পোকা
গা ঘিন ঘিন দেখে,
জান কি তুমি,প্রজাপতি
হয় তাদের থেকে ।


প্রজাপতি রঙিন অতি
রঙিন রঙিন ডানা,
জেনে রাখ শুয়োপোকা
মারতে তাই মানা।


[৪৮]
দাঁড় কাকের দুঃখ ভারি
রঙটি তার কালো,
দুধে আলতা হত যদি
বড়ই হত ভালো ।


সুর টা তার অতি কড়া
সপ্তমের ‘কা’
কত ভালই হত আহা
হলে কড়ি ‘মা’।


গড়ন টা তার মন্দ নয়
লম্বা চওড়া ভরা,
আরও একটু ভালো হত
হলে দো-হারা।


ঠোঁটটা একটু ছোট হলে
চোখ দু'টো টানা,
পৃথিবীটা জয় করতে
থাকবে না আর মানা ।


                [৪৯]
শেয়াল ভায়া  ভাবল মনে-থাকব কেন বনের কোনে
             বুদ্ধিতে  আমি সবার সেরা,
  এই না ভেবে মনে মনে-সুযোগ খুজে প্রহর গোনে
             খুঁজতে থাকে সিংহের ডেরা ।


  বলল তাকে,সিংহ মামা-একটা জামা ধার দাও না,
            পরতে জামা বড়ই মনে সাধ,
পড়ল জামা মানান মত বেশ-পরিপাটি করল কেশর কেশ
       হুক্কা হুয়া সাধল শুধু বাধ ।।


                [৫০]
হাতি ভাবে এত মোটা
এ যুগে আর চলে না,
স্লিম হওয়া খুব জরুরি
তিন বেলা আর খাব না।


নিয়ম করে চেকাপ শুরু
শুরু হল ডায়েটিং,
কলাগাছ খাবার আগে
মাখন দিয়ে হিং।


দু’মাসেই কাজ হল বেশ
ওজন কমে হাফ,
ভারি পা তুলতে গেলে
এখন লাগে হাপ।