শিশু ছড়া (৯৬-১০১)  
                 অচিন্ত্য সরকার  
        


             [৯৬]
নাড়ি টিপে রোগী দেখে
নাম হাদা ডাক্তার,
গাঁয়ে কারো করলে আসুখ
সবার আগে ডাক তার।


যে রোগ হোক না কেন
বুঝে বলে লক্ষণ,
চারা মাছের ঝোল খাও
গলা ভাত ভক্ষণ।


ডিগ্রীর তার জোর নেই
নেই সাজ সরঞ্জাম,
তবু সারা গ্রাম জুড়ে
মুখে মুখে তার নাম।



              [৯৭]
ফুটবল, ভলিবল যে খেলাই হোক না
নুটুরামের খেলা দেখে জুড়িয়ে যায় চোখ।
ফুটবলে হেড দিলে মাঠ করে পার
ব্যাটে যদি বল লাগে উপায় নেই আর।
ফিল্ডার সব হাঁ করে আকাশ পানে চায়
আম্পায়ার দু’হাত তুলে করে হায় হায়।
নুটু রাম ছুটতে থাকে,বাড়তে থাকে রান
দর্শক রা হাত তালি দেয়,করে জয় গান।


                  [৯৮]
নির্জন সে দুপুর বেলা,ষাড়া গাছের তলা
ভর দুপুরে সেথায় কি হয়,যায়না মুখে বলা।
পেত্নীরা সব মাঝ বয়সী,শুরু করে দেয় নাচ
দুষ্টু ছেলের ভয় দেখাতে নানান ছলাকলা।
এসব কথা ভুলেও যেন,করো না কান পাঁচ
কখন কি যে ঘটে তা,যায় না কিছু বলা।


     [৯৯]
বলতে পারিস আপ্তি,
রিমির কেন হয় না বিয়ে?
মোটা হয়ে পড়েছে খুব
লংকা দিয়ে পান্তা খেয়ে।


রোজ সকালে এক গামলা
পান্তা খাওয়া চাই
সঙ্গে আবার গোটা দশেক
বুলেট লংকা চাই।


লংকা একটা কম হলে
মুখটি বেজায় ভার,
জেদের কাছে বাড়ি শুদ্ধু
মানতে হবে হার।


         [১০০]
রামচন্দ্র দুঃখে কাতর
সীতা নেই তার কাছে,
লক্ষণ কাঁদে পাশে বসে
বানর সেনা গাছে গাছে।


লঙ্কার অধিপতি দুষ্টু রাবণ
ছল করে সীতা করেছে হরণ,
কাতর হয়ে তাই অযোধ্যা পুরি
তাঁর কথা শুধু করছে স্মরণ।


        
                [১০১]
আইচক্রিম খাবে খোকা
মনে বড়ই সাধ,
ঘট ভেঙে পয়সা নিল
বড্ড আপরাধ।


হর্তা কর্তা নেতা সব
আস্ত ধেড়ে খোকা,
রাজ ভাণ্ডার লুট করে
দেশকে দিচ্ছে ধোকা,
আমরা কি সব বোকা?