এক কঠিন অসুখে ভুগছি আমরা কেও কেও
মানতে পারি না সব কিছু, তাই করি ঘেও ঘেও।
শোনো রমা,তোমার ছেলে চুল কাটবে,এটা তার স্বাধীনতা,
তবে তার চুলের ছাঁটে দৃশ্য দূষণ হলে?কারো সুস্থ হৃদয়ে
বিরক্তির বুদ বুদ উঠলে?অসুখ কি তারে করবে ক্ষমা?


মেছুনির কাছে মাছের গন্ধ নিদ্রা দায়ক,ক্ষতি নেই,
কিন্তু সে যদি সব দরজা জানালা সব খুলে দিয়ে
তারিয়ে তারিয়ে তা উপভোগ করতে চায়, তবে
সে গন্ধ কি আর তার একার থাকে,না পড়শির
ফুলের বাগান লন্ড ভন্ড করে ঢোকে তার নাকে?


বাস,ট্রাম,চায়ের দোকান,পাড়ার রক,কিংবা ট্রেনে
নিত্য যাত্রির ঠেক-যে খানে যাই,কী আর বলব ভাই,
নিজেকে বড় বেমানান লাগে;বোতল-ভাই,গাঁজা ভাই
সিগারেট ভাই,বহুল শ্রুত সেই ভাই-আমার যে কিছুই
নাই! ওদের কাছে নিজেকে মনে হয় সেকেলে বালাই।


নিজের কবি সত্তা নিয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে,
আমি কি একালের কবি!তবে ওদের বাংলা ভাষায়
আমার গা বমি বমি হয় কেন? কেন মনে হয়
কুৎসিত কিস্তি খেউরে উলঙ্গ করে প্রতিক্ষণ ওরা
ধর্ষণ করে ৭১-এর শহিদের পচা গলা শব দেহ।


পচন যখন মাথায় ধরে,ডাক্তার আর কী বা করে!
মন্ত্রী আমলা থেকে সি.বি.আই,ঠগ বাছতে গাঁ নাই,
চ্যালা-চামলা রাতদিন মারি কাটি খাই খাই; টোকা
টুকলি,ধোকা গুগলি- সুস্থ মানুষ ভয়েই শব-ঠান্ডা
তীর্থে দেব লুকিয়ে মুখ,দাপিয়ে বেড়ায় সান্ডা পান্ডা।


বিজ্ঞাপনের চটকদারি,মিথ্যে টারে সত্য করে;
শিশু শোনে মিথ্যে কথা রাত্র দিন বসে ঘরে।একই
জ্ঞানে বিজ্ঞ মাস্টার স্কুলে আর কী বা করে!নেতায়
নেতায় তর্জা চালায়,সত্য মিথ্যা ডিগবাজি খায়।পকেট
বুঝে ন্যায় নীতি সব যে যার মতো রঙ মেখে যায়।


সুস্থ বলে বড়াই করি,আমরা যারা হাতে গোনা,
সংখ্যা গুরুর নিম্ন চাপে,বিশ্বাসে রোজ ধরছে নোনা;
সুস্থ্যতার সঙ্গা খোঁজা প্রতিদিন-রাত্রদিন-শস্তিহীন।
এক কঠিন অসুখে ভুগছি আমরা কেও কেও
হে জগন্নাথ,ঠুটো কেন!জানান দাও আছে কেও!