কবিতার বান্ধবীরা বাঁচতে শেখো নিজের মতো নিজের ক’রে!
আমাদের কলঙ্কগুলো গা’য়ে মেখে তুমি সামিল হয়ো না
আত্মহত্যার মিছিলে! তুমি বাঁচতে শেখো
নিজের মতো নিজের ক’রে!


ভুল মানুষ শাসন করে তোমার হৃদয় তোমার সময়  
তোমার মসৃণ পথে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় আজো
মানব-কুকুর! তোমার স্বপ্নের বাগান
অসুরের হাতে তছনছ হয় প্রতিনিয়তই!
আমার সোনার বাংলা শরীরে স্বাধীনতার সৌরভ মাখলেও
তুমি রয়ে গেছো আজো একাত্তরের মিলিটারি ক্যাম্পে!


ধর্মগুরুর কাছে তুমি তেঁতুলের চেয়ে বেশী কিছু নও-
তোমায় দেখে জিভে আসে জল!
পুঁজিবাদী লোভী ব্যবসায়ীর কাছে তুমি এক পণ্যনারী-
নগ্নতার নীল মুনাফা!
উন্নয়ন সংস্থার কাছে তুমি এক রুগ্ন ব্রান্ড-
বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার সুবর্ণসুযোগ!
রাষ্ট্রের কাছে তুমি প্রতিবন্ধির মতোই খুব স্পর্শকাতর
সংরক্ষিত আসনে তোমার অস্তিত্ব রক্ষা করা হয়!


তোমার বাড়ির আঙ্গিনাও আজ হয়েছে পর!
এই রাজপথ মার্কেট তোমার স্কুল-কলেজের মেঠো পথ
লাইব্রেরী পার্ক আর বাস লঞ্চ ট্রেনে
সর্বত্রই তুমি এক লোভনীয় শিকার,
তোমার অপমানে দেশ জুড়ে শুরু হয় মায়াকান্না-
শুধু নেই প্রতিকার!


এই বাংলায় তোমার জন্য কোনো ফুল ফোটে না আর-  
বরং লক্ষ টন এসিড আসে শুধু তোমার জন্য,
হাজার হাজার ছুরি-চাপাতি তৈরি হয় সে তো তোমার জন্য
এই বাংলায় সবচেয়ে সুখী আজ ধর্ষকেরা –
আর অভিনব সব মৃত্যু হানা দেয় এই বাংলায়- তাও তোমার জন্য!


কবিতার বান্ধবীরা তাই জেগে ওঠো ভীষণ ক্রোধে
আত্মসন্মান আর মানবিক বোধে!
নতুবা তুমি যে ক্রমেই ভেসে যাবে ইতরের লালসার জলে-
তোমাকে লুপ্তপ্রায় প্রজাতি ঘোষনা করে তখন
পুরে দেয়া হবে ঠিক খাঁচায়!


(কাব্যগ্রন্থ- ‘কবিতার বান্ধবীরা’/শব্দশিল্প প্রকাশনী/স্টল নং: ২১০-২১১/একুশে বইমেলা-২০১৭)