বশীভূত আঁধার নেমে এসেছে
চারিদিক শুধুই বিদঘুটে হাহাকার
ফাঁদ পেতে বসে আছে মৃত্যুর বাহক
চৌকাঠ পেরোলেই গ্রাস করে ফেলবে
মরণোন্মুখে প্রলোভিত টোপ ফেলে রেখেছে
যেই লালায়িত বোধ-চোরা চৌকাঠ টোপকাবে
পরক্ষণেই অস্ফুট মৃত্যুনাদ তাকে চেপে বসবে!


আজ বার বার মনে হচ্ছে
মৃত্যু বড়ই কাছাকাছি আমাদের
দিগ্বিদিকে বিদায়ের করুণ রাগিণী বাজছে
সময়ে-অসময়ে শোনা যাচ্ছে আহাজারি
নবছন্দে ঝংকৃত হচ্ছে মৃত্যুর কোলাহল
অনিমেষনেত্রে দেখা যাচ্ছে অনিবার্য মৃত্যু!
তবে কি চির-বিদায় আমাদের সুনিশ্চিত?
তবে কি ছুটির শেষ ঘন্টা বেজে উঠেছে?
তবে কি এ যাত্রায় আমাদের পথ এখানেই স্থগিত?
তবে কি এর পরিত্রাণ আদৌ অসম্ভব?
অবশ্যই নহে!
অতীত-ইতিহাস বলে, কালের বিবর্তনে
কৌলিন্যের অভিষিক্ত অভিজাত্যের তুচ্ছতা প্রমাণে
এমন মৃত্যু-জোয়ারের আবির্ভাব বহুবার দেখা দিয়েছে।
এসব প্রভুর প্রভুত্বের নমুনা বৈ আর কিছুই নয়!


তবে এসো হে বন্ধু! অপেক্ষা কেন?
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠতব্যকে উপলব্ধি করি
অস্তিত্বের নিরাকারকে মননে ধরি
জগতের যত কুলষিত সাকার
সকলকে তুচ্ছ-নগণ্য ভাবিয়া
এক স্রষ্টার নির্দেশিত পথে চলি!


এসো বন্ধু,
সকল কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্য
প্রবৃত্তি পরিহার করি
উদয়গিরির নব্য-দিগন্তে লুক্কায়িত পথে ফিরি
যেথায় বিরাজ করে খোদার রূপের রহস্য
যেথায় খেলা করে চরম গুপ্তের সৌষ্ঠব সহস্র।
তবে বন্ধু, এতো কাল ক্ষেপন কেনো হে?
জলদি এসে কুঞ্জবিতানের তন্দ্রাচ্ছন্দে আশ্রিত হও
জগতের চরম সত্যের পথে সচ্চরিত হও
বিশ্বনিয়ন্তা প্রভুর গুপ্ত রূপের রঙে পূর্ণ হও
এক খোদার নমস্যে ভৃত্য-সর্বস্ব হও!


এসো বন্ধু
আঁখি খুলে দেখো নতুন দৃশ্য
হেথায় রয়েছে নব-নবীন শিষ্য
জগতের যত প্রোথিত সত্যের শ্রোতা
মনে রেখো, ইহাই চিরন্তন চরম এবং পরম প্রথা।


৩১/০৩/২০২০ইং