তখন সন্ধে নামছে অভিশপ্ত ধোঁয়ায় ঢাকা এই নাগরিক আকাশে।
স্খলিত তারার কাছে ফিরে আসে চাঁদ, বিস্মৃত কিছু স্বপ্নের পাশে।
হাজার বছরের জমা দুঃখ, ব্যথা, অভিমান কড়া নাড়ে দরজায়।
ছেড়ে চলে গেছে জাগতিক ছন্দবদ্ধ অনুভব। যা যায়, তা যায় !
নিভে যাওয়া সূর্যের দূরতম আলো নিয়ে জেগে আছে শুকতারা।
চারিদিকে ঘনিয়ে এলো অন্ধকার। মৃতদের পথ চিনে নিয়ে গেলো কারা ?
কংক্রিট রাস্তার ধারে এসে দাঁড়িয়েছে নাথবতী দেহপসারিনী।
জ্বলে ওঠে গৃহস্থের বাতি। লাজহীনা নূপুরের রিনি ঝিনি ঝিনি।
তারপর ঘন্টার হিসেবে বিকিয়ে যায় রেশমীর পেলব শরীর।
অন্ধকারে তাদের মুখোশের আড়াল খসে, ছুটে যায় লক্ষ্যভ্রষ্ট তীর।
সময় পেরোলে সেই মায়ামৃগ উল্লাসে জানায়, "জনুঙ্গি ইসকি আওলাদ"
আমি বসে থাকি নিস্পন্দ। সমাকর্ষি ? নাকি, এ এক বদ্ধ উন্মাদ ?