পরের ক্লাস পদার্থবিদ্যা।  নাকের ওপর চশমা তুলে , হেলেদুলে
পরেশ বাবুর আগমন। আলো পড়ে চকচকে মুখ, রঙ দেননি চুলে।


আজকের বিষয় "কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গেলমেন্ট ", শুনেই সবাই চুপ।
বিষয় জটিল হলেও , শোনো বলি সহজ কথায় , এটাও কণার রূপ।


অবস্থা বিশেষে দুটো কণা কোয়ান্টামের সূত্র ধরে গেঁথে যায় এমন করে
যতই তারা থাকুক দূরে , এক অমোঘ বন্ধনে বাঁধা থাকে পরস্পরে।


কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকলেও, যদি একজনকে খোঁচাও
অন্যজন বুঝতে পারে সেই মুহূর্তেই , জানান দেয়। বলে, কি চাও ?


আমি ভাবি, তুমি আর আমিও তো তৈরি কণা দিয়েই, বলেছি সেদিন রাতেও।  
তবে এমন নিয়ম তো খাটবে তোমার কণা আর আমার কণার সাথেও।


যেমনি ভাবা , তেমনি সুযোগ এসেই গেলো পরীক্ষাতে প্রমাণ করার।
বর্ষা ভেজা শ্রাবণ রাতে , প্রবল ঝোড়ো হওয়ার সাথে, মৃত্যু হলো আমার।


আমার কণা মিলিয়ে গেলো পঞ্চভূতে।  
রইলে তুমি একলা হয়ে এই জগতে।


কয়েক বছর ঘুরে গেলো , জীবন তোমার একলা কাটে। এটাই ভেবে
আর এক পুরুষ এগিয়ে এলো।  ভালোবাসায় বললো 'তুমি আমায় নেবে ?'


এবার তোমায় জবাব দিতে হবে। দিনটা ছিল একুশ ফেব্রুয়ারি।
আসবে সে আজ।  দেখা হবে তোমার সাথে, কণায় গড়া আমার নারী।


সকাল থেকে কি যে হলো , কোথা থেকে এই ফাগুনে বৃষ্টি এলো !
প্রবল ঝড়ে কাঁপিয়ে শহর , কোয়ান্টামের সূত্র ধরে, ধ্বংসকামী বন্যা হলো।


ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে দেখি ঝড় উঠেছে , মোবাইলে ঘণ্টা বাজে , তোমার ছবি।
'আসেনি তো তোমার কাছে ? দিয়েছিলে কথার জবাব ?' না কি.....স্বপ্ন সবই।