খাসিলাত
আদিত্য অনীক
শ্রেষ্ঠ নবি খোদার হাবিব হজরত মুহম্মদ,
পাহাড় ঘেরা মক্কা নগর ঊষর জনপদ।
পাক নগরী সারি সারি পাহাড় দিয়ে ঘেরা,
সবচে’ উঁচু পাহাড় হলো পূর্ব দিকের হেরা।
ভোরের আলো ছলকে পড়ে হেরার চূড়া থেকে,
কাবার মোকাম ঝলসে উঠে দিনের অভিষেকে।
ফজর শেষে কাবার পাশে কঠিন পাষাণ ভিতে,
সাহাবাদের নিয়ে নবি বসেন তালিম দিতে।
নবি বলেন, “সাহাবাগণ শোনেন হৃদয় করে,
কিছু কথা বলব এখন খাসিলাতের পরে।
যদি বলে এমন কথা কোন অমুসলিমে,
হেরা পাহাড় সরে গেছে পুব থেকে পশ্চিমে,
বিশ্বাস যদি করতে চাহেন করতে পারেন তাহা,
কিন্তু এটি কক্ষনো নয়, বলছ এখন যাহা-
পরিবর্তন এসে গেছে কারো খাসিলাতে-
এমন কথা কষ্মিনকালে নিবেন না আস্থাতে।”
মহানবির কথা শুনে অবাক সাহাবিরা,
সবার চক্ষু এদিক-সেদিক করছে ঘোরাফিরা।
সাহাবা কন, “খোদার হাবিব, কেমনে এটি হয়?
চোখের সামনে ওমর আছেন, দেখুন মহোদয়।
ওমর যখন নিঠুর কাফের, ছিলেন পাষাণ প্রাণের,
জান নিয়েছেন মাল নিয়েছেন অনেক মুসলমানের ।
খোদার রাসুল কতল করার কঠিন প্রতিজ্ঞাতে,
অস্ত্র হাতে গিয়েছিলেন আপনার আঙিনাতে।
কাফের ওমর মুমিন হলেন, এখন দেখুন তাকে,
সব মুমিনের মাথার ছায়া সকল দুর্বিপাকে।
ওমর এখন সবার সেরা কঠিন মুসলমান,
তার কারণেই কাবায় হলো দ্বীনের অধিষ্ঠান।”
খোদার হাবিব মুচকি হেসে বলেন সময় নিয়ে,
“সাহাবাগণ আমার কথা শুনুন হৃদয় দিয়ে।
ওমর যখন কাফের ছিলেন কঠোর ছিল প্রাণ
মুমিন হয়ে হলেন তিনি কঠোর মুসলমান ।
কাফের থেকে মুমিন হলেন বদল হলো ঢের,
কট্টরতায় ঘটলো না তার সামান্য হেরফের।”
ধর্ম হলো বদলযোগ্য পরিধানের মতো,
খাসিলাতটা জন্মে পাওয়া রক্তের অন্তর্গত।
মিথ্যা থেকে মুক্ত ওমর সত্যতে ঠাঁই পেলেন,
খাসিলাতে একই আছেন আগে যেমন ছিলেন।