বাংলা-কবিতার আসরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আসরের সদস্যদের মধ্য থেকে ১২৪ জন সদস্যকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। অনেক সদস্যকে একই সাথে একাধিক দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দায়িত্ব ও তা পালনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যের সংখ্যা নিচে দেয়া হলো।


মোডারেটর - ২৫ জন
দায়িত্ব: কোনো সদস্যের বা লেখার মাধ্যমে আসরের নিয়ম ভঙ্গ হয়ে থাকলে তা ব্যান করায় পদক্ষেপ নেয়া। অপ্রকাশিত লেখা ও মন্তব্য প্রকাশ/বাতিল করা।


এডিটর - ৪৭ জন
দায়িত্ব: খ্যাতিমানদের নতুন নতুন কবিতা যোগ করা। সদস্যের অপ্রকাশিত লেখা বা লেখার মন্তব্য প্রকাশ/বাতিল করা।


রিভিউয়ার - ৯৭ জন
দায়িত্ব: নিরপেক্ষ বিচারে আসরের প্রকাশিত কবিতাগুলোয় রেটিং দেয়া।


দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে শতাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য থাকার পরেও সে অনুযায়ী আশানুরূপ কর্মকাণ্ড চোখে পড়ছে না, বিশেষ করে এডিটর ও রিভিউয়ারদের পক্ষ থেকে। ৪০ জন এডিটর যদি প্রতি মাসে একটি করেও নতুন কবিতা জমা দিতেন খ্যাতিমানদের পাতায়, তাহলেও প্রতি মাসে ৪০টি করে নতুন কবিতা যোগ হওয়ার কথা। কিন্তু কখনও কখনও মাসাধিক কালেও একটি নতুন কবিতা চোখে পড়ছে না। এছাড়া ৮০ জন রিভিউয়ারের প্রত্যেকে যদি প্রতিদিন কয়েকটি করে হলেও কবিতায় রেটিং দিতেন তাহলেও সপ্তাহ শেষে আসরের আগের সপ্তাহের কবিতার তালিকায় ১০জন সদস্যের কবিতা দেখাতো। অথচ নিয়মিত দেখতে পাচ্ছি রেটিং-এর অভাবে তালিকায় ৩-৪টি করে কবিতা দেখায়। এছাড়া মোডারেটরদের দায়িত্ব হচ্ছে আসরের নিয়ম রক্ষা করা। কিন্তু কোনো মোডারেটর যদি নিজেই নিয়ম ভঙ্গ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাকে দায়িত্বে রাখা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?


দেখা যাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংখ্যাধিক্য আসরের কোনো উপকারে আসছে না। তাই আগামী মাস থেকে নিষ্ক্রিয়দের পালাক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দায়িত্ব বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিচার করা হবে:


এডিটর: ১ মাসের মধ্যে যদি খ্যাতিমানদের একটিও কবিতা যোগ না করে থাকেন। তবে যারা ইতিমধ্যে সর্বমোট ১০০টি কবিতা যোগ করে ফেলেছেন তাদের আপাতত এই হিসেবের মধ্যে আনা হবে না।


রিভিউয়ার: ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি একটি কবিতায়ও রিভিউ জমা না দিয়ে থাকেন।


মোডারেটর: মোডারেটরের ক্ষমতা ব্যবহার করে যদি এমন কিছু করে থাকেন যা আসরের নিয়ম ভঙ্গ করে। সেক্ষেত্রে সদস্যকে প্রতিটি দায়িত্ব থেকেই বাদ দেয়া হবে।


দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার আগে বা পরে দায়িত্বপ্রাপ্তের সাথে যোগাযোগ করা বা কারণ দর্শানো সম্ভব হবে না আপাতত। এ নিয়ে কারও আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে যোগাযোগ পাতা থেকে আমাদের তা জানাতে পারবেন। এছাড়া কারও যদি মনে হয়ে থাকে দায়িত্ব পালনের মতো সময় পাচ্ছেন না, অথবা আগ্রহী নন, তবে নিজে থেকেই কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন।


উল্লেখ্য, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই আসরের পুরানো ও সম্মানিত সদস্য। তাদের কাউকে কোনোভাবে অসম্মান করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বরং নতুনদের এসব দায়িত্বে সংযুক্ত করা এবং আসরের কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করাই এর মূল উদ্দেশ্য।