মঞ্জুর হোসেন মৃদুল। আপনার "অন্তরের কিছু কথায়" অনেক কিছুই বিশদভাবে বলেছেন। ভাল লাগলো। তবে কিছু বক্তব্য ও উপস্থাপনায় ভুল আছে। সব কিছু ঠিক করে দেয়া আমার দায়িত্ব নয়, তবে এডমিনের কার্যাবলীর যেসব বিষয়ে আপনার বক্তব্যে অসঙ্গতি আছে, তার উত্তর আমি দিচ্ছি।


আপনি আসরে আছেন ৫ মাস হলো। এসময়ের মধ্যে হঠাৎ দেখা গেলো যে কবিতায় অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের পরিমাণ হুট করে অনেক বেড়ে গেছে। অনেকেরই অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার ও অন্য কয়েকজনের বিভিন্ন কবিতায় গিয়ে দেখতে পেলাম যে সেখানে আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে শতাধিক করে মন্তব্য জমা হচ্ছে যা কোনমতেই কবিতার সাথে প্রাসঙ্গিক না। ক্ষেত্রবিশেষে আপনাদের নিজেদের ব্যক্তিগত নানা সম্পর্কের দ্বন্দ সবার সামনে মন্তব্যের আকারে উপস্থাপন করা ছিলো অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ এক বিষয়। অলিখিত কিছু নিয়ম আগে থেকেই প্রায় সবাই মেনে চলতো। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তির আকারে সবাইকে জানালাম যে কবিতায় অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা নিষিদ্ধ। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও আপনারা এধরণের মন্তব্য করা থেকে বিরত হলেন না। সরাসরি আসরের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলেন। নিয়মভঙ্গের জন্য আপনাদের পুরো একাউন্ট ব্যান করে দিলেও তা দোষনীয় হতো না, যেমনটা আগেও অনেকের ক্ষেত্রে করা হয়েছে। কিন্তু আসর থেকে কোন কবিকে বিতারিত করতে চাইনি। তাই যেহেতু মন্তব্য করা নিয়েই সমস্যার সৃষ্টি, আপনি সহ ক'জনের মন্তব্য করার ক্ষমতা বন্ধ করে দিলাম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। আপনি আপনার ভুল স্বীকার করে আমাকে ইমেইল দিতে থাকলেন। আপনার ২২শে এপ্রিলের ইমেইলে আপনি উল্লেখ করেছেন, "দয়াকরে আমার অবস্থান বিবেচনা করে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন যদি ঘটনার পুনরোবৃত্তি ঘটে তবে কঠোর ভাবে আমাকে শাস্তি দিন আমি মাথা পেতে নিব।" আসরের নিয়ম মেনে চলবেন বলে কথা দেয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনার মন্তব্যের ব্যান তুলে নেয়া হলো।


আসরে কবিতার বাইরে অন্য কিছু লেখা নিষিদ্ধ বলে গত কয়েক বছরে অনেকেই অনুরোধ করছিলো যেন কবিতার বাইরে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে কথা বলার জন্য নতুন এক বিভাগ চালু করি। গত মার্চ থেকেই ওয়েবসাইট আপডেটের নানা কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় কবিতার বাইরের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলাপ আলোচনার জন্য "কবিদের আড্ডা" (যা বর্তমানে "আলোচনা সভা" নামে পরিচিত) নামে নতুন এক বিভাগ চালু করা হয়। আপনি বলছেন যে আড্ডা বিভাগ ও গুগল প্লাস আপনার মন্তব্যের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি, যা পুরোটাই ভ্রান্ত ধারণা। গুগল প্লাসে বাংলা-কবিতার পাতাও অনেক আগে থেকেই ছিলো, যদিও সক্রিয়ভাবে নিয়মিত তা আপডেট করা হতো না। কিন্তু সম্প্রতি গুগল থেকে বিশেষভাবে বাংলা-কবিতা-র পাতাটি সক্রিয় করার অনুরোধ পাওয়ায় তাদের নানা পরামর্শের ভিত্তিতেই গুগল প্লাসের পাতা পরিচালনা শুরু করি। বিনিময়ে গুগল বাংলা-কবিতার পাতাকে আলাদাভাবে প্রমোট করেছে সবার কাছে। তাই কয়েক মাসের মধ্যেই সেই পাতার অনুসারীর সংখ্যা কয়েক শ' থেকে বর্তমানে ৭৯ হাজারে উপনীত হয়েছে।


যাক, আড্ডার প্রসঙ্গে আসি। আড্ডার পাতার শুরুতেই বলে দেয়া হয়েছিলো যে সেখানে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে হবে। বাংলা-কবিতার পুরো ওয়েবসাইটটিই কবিতা বিষয়ক। তাই এখানে কবিতা কিংবা কারও কবিসত্ত্বার বাইরের অন্য কোন বিষয় যে প্রাসঙ্গিক না তা সাধারণজ্ঞানেই বুঝা যায়। কিন্তু দেখা গেলো আপনি সহ অনেকেই কবিতার সাথে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নিজেদের নানা কথা প্রকাশ করে চলেছেন এই বিভাগে। অন্যান্য অনেকের পাশাপাশি তাই আপনাকেও ইমেইলে সতর্ক করি এব্যপারে। কিন্তু সেজন্য আপনাকে বা আর কাউকে ব্যান করা হয়নি, যা আপনি দাবি করেছেন আপনার লেখায়। আপনার মন্তব্য করার ক্ষমতা দ্বিতীয়বারের মতো এক সপ্তাহের জন্য ব্যান করা হয় আড্ডার লেখায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে আবারও ব্যক্তিগত আলাপ জুড়ে দেয়ার জন্য। তাও সেটা এক দুই মন্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সব মিলিয়ে শতকের ঘর পাড়ি দিয়েছিলো। তার চেয়েও আপত্তিজনক ছিলো কথাবার্তায় ব্যক্তিপ্রণয়ের ভাব সুপষ্ট হওয়ায়। এবারও একের পর এক আপনার ইমেইল পেতে থাকি। কখনও ক্ষমা চেয়ে, কখনও আত্মপক্ষ সমর্থন করে, কিংবা কখনও একের পর এক অভিশাপ দিয়ে ইমেইল পাঠিয়েছেন আপনি। কিন্তু প্রতিবার তো সময়ের আগে ব্যান তুলবো না। আগেরবার আপনি নিজেই বলেছিলেন যেন পরেরবার ভুল হলে ৩ মাসের জন্য আপনাকে ব্যান করে দেই। অথচ সেতুলনায় এবারের শাস্তির মেয়াদ ছিলো ৭ দিন। এধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে আপনি কবিসত্ত্বার টুটি চেপে ধরার সাথে তুলনা করেছেন। অথচ প্রতিটি ব্যানই ছিলো শুধুমাত্র মন্তব্যের উপর। আপনার কবিতা লেখায় কখনোই কোনরকম ব্যান বা নিয়মকানুন আরোপ করা হয়নি।


আপনার ব্যান ৭ দিনের আগে তুলে না নেয়ায় একদিকে আপনি আমাকে ইমেইলে বলছেন যে আমি নিজেও কবি হয়ে এতো সংকীর্ণ মনের কিভাবে, আবার অপরদিকে আপনি নিজেই আপনার কবিতা বা আড্ডার লেখায় মন্তব্য করতে না পারা নিয়ে সবাইকে মিথ্যে কথা বলছেন যে ল্যাপটপ বা মোডেম না থাকায় মন্তব্য করতে পারছেন না। তার উত্তরেই ইমেইলে আপনাকে বলেছিলাম যে কবি হয়ে সবার সামনে মিথ্যে বলাও সংকীর্ণতারই নামান্তর। সম্ভব হলে মিথ্যে না বলে সবার সামনে স্পষ্টভাবেই বলুন যে ব্যান হওয়ায় আপনি মন্তব্য করতে পারছেন না।


এবার আসি আপনার উল্লেখিত ইঁদুর দৌড় প্রসঙ্গে। আপনি বলেছেন, "আড্ডা বিভাগে কেউ আড্ডা দিতো না বলে সেখানে পয়েন্ট সিস্টেমে ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। এই ইঁদুর দৌড়ের খেলা না খেললে কবি হওয়া যাবে না, কবি হিসাবে নাম থাকবে না।" আপনার এই বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গীর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কবিতার আসরে নিয়মিত কবি ও সেরা মন্তব্যকারীর তালিকা অনেক বছর আগে থেকেই ছিলো। তার ধারাবাহিকতাতেই আড্ডা বিভাগ চালুর সাথে সাথে সেখানে নিয়মিত আড্ডাবাজের (যা বর্তমানে নিয়মিত আলোচক হিসাবে পরিচিত) তালিকা যোগ করা হয়। আমাদের আসরের সহস্রাধিক কবির মধ্যে অবশ্যই শতাধিক কবি আছেন যারা কবি হিসাবে অত্যন্ত সুদক্ষ। অথচ তালিকায় নাম দেখায় মাত্র ১০ জনের। যেকোন সুবিবেচনাপ্রসুত চিন্তাতেই এটা স্বাভাবিক যে শুধুমাত্র ১০জনই কবি না, অন্যেরাও কবি। তাই কবি হিসাবে নিজেকে প্রমানের জন্য এই তালিকা তৈরি হয়নি। আর যে পয়েন্ট সিস্টেমের কথা আপনি বলছেন, তা ইঁদুর দৌড়ে সবাইকে নামানোর জন্য না, বরং যারা তালিকায় নিজের নাম দেখার জন্য নিত্য ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত থাকেন, তাদের নিরুৎসাহিত করতেই করা হয়েছে। আর এই ইঁদুর দৌড়ে যদি কারও নাম আসে, তবে সবার আগে আপনার নামটাই উল্লেখ করতে হবে। যেকোন কারণে যখনই আপনার নাম তালিকার উপর থেকে নিচের দিকে নেমে এসেছে তখনই সাথে সাথে আপনি আমাদের ইমেইলে অভিযোগ দেয়া শুরু করেছেন। বাইরে সবার সামনে বলছেন যে আপনি তালিকার তোয়াক্কা করেন না, এসব ইঁদুর দৌড় ছাড়া আর কিছু না। অথচ দৌড়ে সবার সামনে থাকতে না পারলেই শুরু হয়ে গেছে আপনার অভিযোগের ফুলঝুরি। আপনার মতো অনেককে নিরুৎসাহিত করতেই আমরা পয়েন্ট সিস্টেম চালু করেছি, এবং আপনাদের নানাজনের প্রতিক্রিয়াতেই পয়েন্ট সিস্টেমের নিয়ম নিয়মিত আপডেট করছি যেন কেউ ইঁদুর দৌড়ে লেগে না থাকে।


আমরা আলোচনা বিভাগ (ইতিপূর্বে আড্ডা নামে পরিচিত) কথার ফুলঝুরি দিয়ে জমাতে চাই না। তাই ইঁদুর দৌড়ের তো প্রশ্নই নেই, বরং অপ্রাসঙ্গিক ও কপি-পেস্ট লেখা বন্ধে উলটো সচেষ্ট আমরা। আলোচনায় বেশি লেখা বা মন্তব্য দরকার নেই আমাদের। কম লেখা আসুক, কিন্তু প্রাসঙ্গিক থাকুক সব। এটি কবিতার একটি ওয়েবসাইট, এবং সেই কবিতার পরিবেশটি বজায় থাকুক, এটাই চাই। সেজন্যেই যখন দেখি আপনি আলচনা সভা জমানোর জন্য (কিংবা নিয়মিত আলোচকের তালিকায় নিজের নামটি দেখানোর ইঁদুর দৌড়ে) নিয়মিত অপ্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা কিংবা অন্যের লেখা টুকলিফাই করে এখানে প্রকাশ করছেন, তখনই আপনাকে বার্তায় বা ইমেইলে নিষেধ করেছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক, কোনমতেই আপনি বিতর্কের বাইরে আপনার অবস্থান রাখতে পারছেন না। ৫ মাস হলো কেবল এই ওয়েবসাইটে আছেন। অথচ এর মধ্যেই নানা কারণে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে আপনাকে কেন্দ্র করে। সমস্যাটি যদি এই ওয়েবসাইটের ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকতো, তাহলে শুধু আপনি না, আরও অনেককে নিয়েই বিতর্ক দেখা দিতো। কিন্তু যেহেতু আপনার মতে সবাইকে রেখে শুধু আপনাকেই আলাদাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তাই বরং একটু সময় নিয়ে আপনার ভেবে দেখা দরকার আপনার দিক থেকেই আচরণগত কোন ত্রুটি আছে কিনা। এবং এর একটি উদাহরণ আলোচনা সভায় আপনার সাম্প্রতিক কিছু লেখা ব্যান করা নিয়ে দেয়া যেতে পারে।


এই আসরে আপনি অল্পদিন হয় আছেন। কিন্তু ইন্টারনেটে আপনার পদাচারণা অল্পদিনের না। আপনার কথা থেকেই জানতে পারি যে আপনি ৩টি শীর্ষস্থানীয় ভয়েস চ্যাট রুমের এডমিন ছিলেন। ফেসবুক থেকে নিয়ে নানা ওয়েবসাইটে আপনি বেশ সক্রিয়। অথচ এই সাধারণ নিয়মটি আপনার জানা নেই যে অনলাইনে কোন এক ওয়েবসাইট থেকে কারও লেখা হুবহু কপি করে অন্য কোথাও তুলে দেয়া যায় না। এটি অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ বলে বিবেচিত হয়। এছাড়া নিজস্ব মৌলিক কোন লেখাতেও অন্যের কোন লেখার সাহায্য নেয়া হলে লেখার নিচে সেই লেখার লেখকের নাম, ওয়েবসাইট ও লিঙ্ক উল্লেখ করতে হয়। অতএব, যেকোন কারণেই হোক আপনার মনে হয়েছে যেহেতু আপনি আপনার নিজস্ব অপ্রাসঙ্গিক লেখা আলোচনা সভায় প্রকাশ করতে পারছেন না, তাই আপনাকে বিখ্যাত কবিদের সম্পর্কে অনলাইন থেকে বিভিন্ন তথ্য কপি করে এনে হলেও এখানে প্রকাশ করতে হবে। একে তো পুরো লেখাই হুবহু কপি, তার উপর কোনটাতেই উৎসের লিঙ্কের কোন উল্লেখ নেই। স্বভাবতঃই আপনার ৪টি লেখা আলোচনা থেকে ব্যান করা হয়েছে। (এটা ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার কিছু নেই, আলোচনা থেকে অনেকেরই অনেক অপ্রাসঙ্গিক লেখা নিয়মিত ব্যান হচ্ছে।) যেহেতু ইমেইলে আপনার সমস্যাগুলো নিয়ে আপনার সাথে আলোচনাকালে আপনি ইমেইলে একরকম কথা বলেন, এবং আসরে গিয়ে ভিন্ন কথা বলে আসেন, এবার তাই আপনার লেখা ব্যান সম্পর্কে আসরেই সরাসরি লেখা প্রকাশ করলাম। (এমনটি ক্ষেত্রবিশেষে আগেও কয়েকবার করা হয়েছে আর কারও ক্ষেত্রে।) আপনার বক্তব্যও আপনি সবার সামনেই এখানে দিতে পারবেন। পাশাপাশি লেখা কপি সম্পর্কে আমাদের নিয়মগুলোও আসরের অন্যেরা জানতে পারবে। আপনি সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিলেন যে কপি করার ব্যপারে আমাদের নিয়ম আলাদাভাবে আগে উল্লেখ না করায় এরকমটা হয়েছে। অর্থাৎ, লেখা ব্যানের পর নিয়ম প্রকাশে এখন তা আপনি জানতে পেরেছেন। আমার লেখার শেষের প্যারায় স্পষ্টভাবে বলেছি যে কোন লেখায় অন্যের কপি করা অংশ অর্ধেকের কম হতে হবে (মৌলিক লেখা অর্ধেকের বেশি হতে হবে), এবং সেটারও উৎসের লিঙ্ক দিতে হবে। তো এই নিয়ম জানার পর আপনি কি করলেন? আবারও হুবহু ১০০% কপি করে এক লেখা পোস্ট করলেন আলোচনা সভায়। এবার অবশ্য লেখার নিচে বলে দিলেন যে এটা সংগৃহীত, যদিও কোথা হতে সংগৃহীত তার কোন লিঙ্ক আপনি লেখার নিচে দেননি।


আপনার লেখায় আপনি আরও বলেছেন যে আপনার এক বন্ধু আমাদের উপর রাগে, দুঃখে, ঘৃণায় আসর ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ আপনার যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে আসর এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে বিরতি নিয়েছে এমন কিছু কবির তথ্যপ্রমান আমাদের হাতেই আছে। আসরের দরজা সবার জন্য খোলা। কেউ তার ইচ্ছেমতো এখানে যোগ দিতে পারে, আবার বিরতিও নিতে পারে চাইলে। অপরপক্ষে আমরা সবসময় চাই আসরে কবি থাকুক। আর আমাদের এই সদিচ্ছার জ্বলন্ত প্রমান আপনি নিজেই। এতোকিছুর পরেও এখানে আপনি আপনার নিজস্ব বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারছেন। তার আগেই আপনার পুরো একাউন্ট ব্যান করে দেয়া হয়নি।


আপনি আরও বলেছেন আড্ডার নাম পরিবর্তন করে "আলোচনা সভা" রাখা হয়েছে আপনার জন্যেই। অন্য কিছু ধারণার মতো আপনার এই ধারণাটিও ভ্রান্ত। আড্ডা বিভাগ চালু করার পর মিমি দিদি সহ অনেকেই বলেছিলেন যে তারা সরাসরি চ্যাটিং-এর মাধ্যমে আড্ডা দেয়া যায়, এমন একটা প্লাটফরম চান এখানে। তাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই তেমন আড্ডা বিভাগ চালু করা হয়েছে এখানে। আর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসরের অন্যান্য অনেকের মতামতের উপর ভিত্তি করে পুরানো আড্ডা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে "আলোচনা সভা" রাখা হয়েছে।


আপনার কপি করা লেখাগুলো ব্যান করে দেবার পর সতর্ক করে আপনাকে বলা হয়েছিলো যে এরকম কপি করা অন্য লেখাগুলো যেন আপনি নিজেই মুছে ফেলেন। এজন্য আপনাকে ৩ দিন সময়ও দেয়া হয়েছিলো। দেখা যাচ্ছে সেদিকে মনযোগ না দিয়ে আপনি বিতর্ক উস্কে দেয়ায় মনযোগ দিচ্ছেন বেশি। আপনার প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে আপনার যেসব লেখায় অন্যের কপি করা অংশ ৫০%-এর বেশি, সেসব লেখা মুছে দিবেন। এবং যেসব লেখায় আপনার মূল বক্তব্য ৫০%-এর বেশি, সেগুলোয় কপি করা লেখার মূল উৎসের লিঙ্ক দিয়ে দিবেন। (শুধু সংগৃহীত উল্লেখ করলে চলবে না।) ধন্যবাদ।