আপনারা এখানে যারা কবিতা বা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক লেখা প্রকাশ করছেন, তাদের লেখায় আসরের সদস্য ছাড়াও যে কেউ মন্তব্য করতে পারে। সদস্যের দেয়া মন্তব্য সরাসরি প্রকাশিত হলেও অন্য কারও মন্তব্য অনুমোদনের পর প্রকাশিত হয়। যার লেখায় মন্তব্য দেয়া হয়েছে, তিনি ছাড়াও আসরের যেকোনো মোডারেটর বা এডমিন অপ্রকাশিত মন্তব্যগুলো প্রকাশ করতে পারেন, অথবা মুছে ফেলতে পারেন। কেউ কোন আপত্তিজনক মন্তব্য করলে তা প্রকাশ করার পরিবর্তে মুছে ফেলার পরামর্শ দেই আমরা। তবে আমাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে অপরিচিত নাম ব্যবহার করে অনেকের লেখায় মন্তব্যের মাধ্যমে হুমকিও দেয়া হচ্ছে। কাউকে শারীরিক অথবা অন্য যেকোনো ভাবে ক্ষতির হুমকি দেয়া একটি গুরুতর অপরাধ। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে এরকম হুমকির প্রতিকারে শাস্তির আইন আছে। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কারও কাছ থেকে এধরণের হুমকি পেয়ে থাকলে আপনি কি করবেন? সেব্যাপারে আমাদের পরামর্শ দিচ্ছি এখানে।


কেউ যখন আপনার কোন কবিতা বা লেখায় মন্তব্য করে থাকেন, যে মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটার থেকে মন্তব্য করা হয়েছে তার আইপি এড্রেস আমরা সংরক্ষণ করি মন্তব্যের সাথে। এতদিন পর্যন্ত এই আইপি এড্রেস শুধুমাত্র আমাদের মোডারেটর ও এডমিন প্যানেল দেখতে পেতো। তবে আজ থেকে যার লেখায় মন্তব্য করা হয়েছে তিনিও মন্তব্যকারীর আইপি এড্রেস দেখতে পাবেন মন্তব্যের নিচে, যদি মন্তব্যকারী লগইন না করে মন্তব্য জমা দেয়। হুমকিস্বরূপ কোন মন্তব্য পেলে:


১) প্রথমেই মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট বা কপি নিয়ে আলাদাভাবে নিজের সংরক্ষণে রেখে দিবেন পরবর্তীতে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করার জন্য। (সম্ভব হলে প্রিন্ট-আউটও নিয়ে রাখুন।)


২) আপত্তিজনক মন্তব্য বলে সেটা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন, তবে সাথে সাথে মুছে ফেলারও দরকার নেই। (মুছে ফেললেও এখন থেকে তার একটি রেকর্ড থেকে যাবে আমাদের কাছে ভবিষ্যতে যাচাইয়ের জন্য।)


৩) মন্তব্যের একটি কপি নিয়ে আপনার নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন। হুমকির বিস্তারিত বিবরণের পাশাপাশি কোন আইপি থেকে মন্তব্যটি জমা দেয়া হয়েছে এবং ঠিক ক'টার সময় জমা হয়েছে তা উল্লেখ করবেন অবশ্যই।


৪) এছাড়াও ঠিক কোন দেশের কোন শহর থেকে মন্তব্যটি করা হয়েছে তা আপনি নিজেও বের করতে পারবেন আইপি এড্রেস দিয়ে। গুগলে "Find location by IP" দিয়ে সার্চ দিলেই এমন অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আইপি এড্রেস দিলে তার ঠিকানা দেখায়। তেমনই একটি ওয়েবসাইট হল: www.iplocation.net


ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় প্রত্যেকের কম্পিউটার বা মোবাইলে একটি আইপি এড্রেস সেট করা হয় ইন্টারনেট সেবা দানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একই আইপি এড্রেস একেক সময় একেক ব্যবহারকারীকে দেয়া হয়। অনেকেই ভাবতে পারেন এতে করে আইপি-র মাধ্যমে হুমকি-দাতাকে সনাক্ত করা সম্ভব না। তবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে নির্দিষ্ট একটি আইপি এড্রেস শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একজনকেই দেয়া সম্ভব। অর্থাৎ আইপি এড্রেসের পাশাপাশি যদি সময়টাও জানা থাকে, তাহলে কার ফোন বা কম্পিউটার থেকে হুমকিটি দেয়া হয়েছে তা নির্দিষ্ট করা সম্ভব। যেমন ধরুন, আপনাকে দেয়া হুমকিটি গ্রামীণ ফোনের কোন একটি আইপি থেকে দেয়া হয়েছে। তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রামীণ ফোনের সাথে যোগাযোগ করে এটা বের করতে পারবেন যে নির্দিষ্ট একটি সময়ে তারা ঠিক কোন মোবাইলে এই আইপিটি সেট করেছিলেন। আমার জানামতে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে আইপি দিয়ে অপরাধী খুঁজে বের করায় আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারত বা অন্যান্য উন্নত দেশে আরও উন্নত ব্যবস্থা আছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। তাই কারও কাছ থেকে যেকোনো রকম হুমকি পেলে চুপ করে বসে না থেকে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাবেন। পাশাপাশি আপনি নিজেও আইপি দিয়ে সার্চ করে দেখে নিন ঠিক কোন দেশের কোন শহর থেকে মন্তব্যটি করা হয়েছে।