আমার মাথার নিচের বালিশটা পর্যন্ত
জানে
জানে বুকে খুব শক্ত করে চেপে রাখা
কোলবালিশ টাও!
সেই জানালাটাও জানে ;
যেই জানলায় ভোরের আলো দেখি
আমি
মনের সব যন্ত্রনা বাষ্প হয়ে উবে আসে
বের হয় চোখ দিয়ে!অশ্রু হয়ে!
সারারাতের মুছে যাওয়া অশ্রুরা
তখনও সূর্যের আলোয় চিকমিক করে যেন!
সূর্য জানান দেয় আমি এসেছি!
কিন্তু সূর্যের সাথে আমার বিরোধ
চলছে!
জানালাটা বন্ধ করে দিই আমি।
!
জানে সেই ঈশ্বরও!কি বোকা আমি!
সবার আগে,আমারও আগে জানেন
তিনি!
তিনি জানেন রাত জেগে থাকা
আমি নিশাচর
বসে বসে শুধু অশ্রু ঝড়াই না!
প্রার্থনা করি!
নাযায়েয সেই প্রার্থনা!
তাই তিনি শুনেও শুনেন না!
আমার গলার সব জোর দিয়ে আর্তনাদ
করে উঠি
ভোরের নিস্তব্ধতা তাকে ডেকে
দেয়!
আমি ছাড়া আর কেউ শুনে না!
যতবার আমি তোমায় চেয়েছি
ততবার চেয়েছি মৃত্যু!
জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে আমার প্রেম
নরকীয় সেই ভালোবাসা!
!
সবাই জেনে গেছে সব
তুমি শুধু বাকি,
মনের রক্তাশ্রু আমি
লবনাক্ত পানি দিয়ে ডাকি!
জেনে রেখো;
যতই দুঃখ পাই
যতই স্বপ্ন ভেঙে যাক
এ সব কিছু মেনে
খুব গোপনে
রেখেছি তোমায়
লুকিয়ে খুব গোপনে!
চোখের জল রাখবো আমি
সংগোপনে ডাকি
সবাই জেনে গেছে সব
শুধু তুমিই মাত্র বাকি!