ঈশ্বর, ঈশ্বর ক’রে সব অধিকার ছেড়ে দিয়েছি একদিন
কিছুই রাখিনি নিজের ক’রে। কিছুই আমার নেই।


চব্বিশ বছরের সংসার জীবনে চব্বিশটা সুতোও নেই। তোমরা আছো।
আবার তোমরা নেইও! দিন চলে গেছে, দিন যাচ্ছে।


প্রতি পল, প্রতি সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা মেপে অনেক দিয়েছ, দিচ্ছ এখনও।
তবু ঘরের বাতি বন্ধ, হৃদয় কপাট অন্ধ ! মনের বাইরে থেকে যায় বিস্তর
সুখ-রাশি।  বেদনার নীল সাগর ফনা তুলে, আছড়ে ভাঙে বুকের তলা
বিকেলের ধুসর রোদে শুয়ে থাকে মৃত মথ, ঘরের মেঝেতে  কাঁপে
বেদনার থির -জলে টুকরো আলোর কণা। চোখে চোখে ওড়ে
জীবনানন্দের চিল।


জানি না কেন মনে হয় জীবন-গ্রনি' বাঁধা হয়নি ঠিকঠাক। ওই ফুল, ওই
নদী, ওই আকাশ, বাতাস সবই তো আমার ; তবু যেন আমার নয় !


তুমি আমারই রচনা ; তুমি দ্বি-পদী, ত্রি-পদী,চতুষ্পদী কখনও পঞ্চমী
একটা দীর্ঘ কবিতা তুমি আমার । লাইন-লাইন লিখেছি। এখন পড়বো
পড়বো আর পড়বো, হাসবো, কাঁদবো ! ভুগবো বিষন্নতায় ! কখনও বা সুখে!


ইদানিং কেমন একতরফা হয়ে যাচ্ছি আমি। কিছুই বুঝতে চাই না।
না বুঝি নিজেকে, না বুঝি অন্যকে। শুধু ডুবে থাকি নিজের ভেতর নিজে।