এই তো সেদিন বাগান ছিল মনোরম
মালিনীর চৌকস পরিচর্যায়,
প্রস্ফুটিত ফুলেরা সতেজতায়,
সুগন্ধ বিলাতো বাতাসে।
মালিনী সহাস্য তৃপ্তিতে জল ঢালতো প্রতিটি ফুল গাছের গোড়ায়।
বাগান, ফুলগাছ, ফুল আর মালিনী
সে ছিল প্রেমের দিপ্ত উপাখ্যান
মালিনীহীন বাগান তথা ফুল!
তখন ভাবনার অতীত ছিল অকল্পনীয়।
দিন যায় বাড়ে প্রেম, মালিনী আর বাগানের,
মালিনী গাছের গোড়ায় ঢালে জল তাতে বাড়ে তার- মনোবল
আর প্রস্ফুটিত ফুল ছড়ায় দ্বিগুণ সুরভি।
দিন যায় যতো বাগান আর মালিনীর প্রেম বাড়ে ততো, আরও বাড়ে আরও বাড়ে শেষে একদিন
এত সুখ কি আর সয় কপালে?
শেষে একদিন সব প্রেমের জোড়ালো বাধন ছেড়ে
মালিনী পাড়ি দিল পরজনমে।
ফুলগাছের গোড়ায় জল পড়েনি অনেকদিন আজ
ফুলগুলি জরাজীর্ণ নেই সেই সতেজতা
আর প্রাণ মন মাতানো সুরভি।
এখন যখন তখন বাগানে ঢুকে
দুষ্ঠু কালো গরু ছাগল
পেট পুরে খায় কচি ডালপালা।
আজকাল বাগান থেকে ফুলের সুরভি নাকে আসেনা,
প্রায়ই শুনি ফুলহীন শূন্য বাগানের ঝরাপাতার হৃদয় ছেড়া আর্তনাদ।