সেই বট বৃক্ষের কথা মনে পড়ে
বাউসমারী গ্রামের বট বৃক্ষ
দশ গ্রাম জুড়ে নাম ছিল এ বৃক্ষের
এটি একটি বৃক্ষ ছিল
এটি একটি বাগান ছিল
এটি একাই একটি বন ছিল।


প্রকাণ্ড কাণ্ডে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে
রাজত্ব তৈরি করেছিল বৃক্ষটি
ঘন পত্র-পল্লবের কোমল ছায়ার বেষ্ঠনীতে
ভালোবাসার নীড় তৈরি করেছিল সে
হাওয়ার তালে তালে নেচে উঠত পাতাগুলি
শনশন সুর তুলে জানান দিত
গৌরবান্বিত উপস্থিতি।


এ বৃক্ষের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে
রাখাল ছেলেরা আসত
পাড়ার বালকেরা আসত
গাঁয়ের লাজুক বধূরা আসত
লজ্জারাঙ্গা বালিকারা আসত
হাজার প্রজাতির পাখিরা আসত
আসত কাজি ইমদাদুল হকও
বৃক্ষের ছায়ায় প্রাণ জুড়াত
মন জুড়াত, জুড়াত ক্লান্ত শরীর।


সেই বৃক্ষটি এখন নেই
কতগুলো দাতাল করাতের প্রাণ সংহার করে
লড়তে লড়তে ঢলে পড়েছে সে
রূপকথার বটপাকুড়ের মতোই
এখন সে একটি গল্প
গাটের পয়সা খরচ করে
শত গ্রাম ঘুরেও
এমন বৃক্ষ আর চোখে পড়েনা।