বৃষ্টিপাতের একটু আগে অস্তগামী ক্ষরণ
হৃদয়খানি ভিজতে থাকে লবনপবন ক্ষারে
স্মরণশালায় তখন বরণলগন জাগে!
মিষ্টভাষী দৃষ্টিপাতের উথলে ওঠা ক্ষণে
মেঘনাকূলের মেঘবালিকার উছল হাসিমুখ
শরণকালের আঁচলশোভার উজল দ্যুতি;
নয়নলোভন নকশাকরা জামদানি সুখ আহা!
মুঠোয় ভরা নিতে পারো সত্য ভালো-
ঠিকরেপড়া আলোকদানির মুগ্ধ অমিতকণা
আকাশচুয়া রেশমি আলোর উদার বিচ্ছুরণ!
চরম চাওয়া জেনো;একেই পাওয়া বলে
পরম পাবার সার্থকতার নিখাদ সোনা
হঠাৎ আসে এমন নীরব মুগ্ধজ্যোতি
মনেরকালো ছাড়তে পারা কনেদেখা আলো।


খেয়াল রেখো গড়িয়ে যাবার ভয়;
নিমিষে নষ্ট হওয়া ভ্রষ্টাচারী ক্ষয়ের তলে
হারিয়ে যাওয়া তিতাসবেলা ভাসতে পারে
পুলকলাগায় কি আর ক্ষতি!
দখিনধারের দোয়েল শ্যামার শিসে
চোখের তারা নাচতে পারে অতীত সবাক
হৃদয়কোণে জাগতে পারে অবাক স্ফুরণ!  
কেউ না জানুক;কেউ না দেখুক-
সেই আলোতে বসে থেকো আনন্দিত বুকে
চুপশহরের একলা একা ঘরে-
ঝলকানো জয় আসতে দিয়ো নতুন
সাগরবাতাস থামতে পারে ক্লান্তউড়াল ছেড়ে।