==================


তাই হয়তো ভালো ছিলো;
জৈবিকতার উপাখ্যান বাদ দিলে
-বৃক্ষনির্ভর অনেক অনেক দিন।
কেন যে হঠাৎ হলো চকমকি ঘর্ষণ
ছোটাছুটির সে-তো শুরু
আলোমুখী পতঙ্গের দিক্বিদিক ভনভন!
ক্রমোন্নতির শিকড়;গেঁড়ে থাকেনি তলে
শ্বাসমূলের মতন বেরিয়ে এলো-
মৌলিক চাহিদার অপরিমেয় শূল ত্রিশূল!

পরের ইতিহাস- সবারই জানা
আবিষ্কারের গল্প;কথাও কবিতা
গতির সাথে মতির,লোভ কিংবা লাভক্ষতির!
আকর্ষণ বিকর্ষণ মধ্যাকর্ষণ অভিকর্ষণ
আরো আরো কত কি...
এভাবেই দিনে দিনে জাগতিক ইয়ার্কি!
গুহাবাসী তপস্বীরও ভেঙ্গেছে কঠিন ধ্যান।


মরুর তৃষ্ণা নিয়ে;সমুদ্রমুখী যতো
পথিকেরা ছুটেছিল একই পথে-
ভালোবাসা নামধারী নহরের আশায়!
ধুলিঝড় কেটেকুটে; পেরিয়েছে গোবি
কাঁকর আঘাত সয়ে,ভেঙেছে শৈলপাহাড়
নুড়িপাথরের ভাঁজে ভাঁজে আজও
-অঙ্কিত সেসব দীঘল ইতিহাস!


মানুষের নামে নামে রচিত মহাকালে
নতুনে নতুনে খচিত দ্বিধাদ্বন্দ্ব
-অচেতন পাপেরই অগ্নিবর্ষণ!
জ্যোতির শরীরে বেইজ্জতি জুড়ে
আঁধার আঁকড়েছে আরো হুজ্জতি অন্ধ।
সমূলে বেড়েছে তাই অমানুষ দল
মিছিলে মিছিলে ভাসা অবিরত
-অনাচার নির্বিচার,ঘৃণা,ধর্ষণ!
পৃথিবী বইবে কতো কলঙ্কভার এতো?


===================