পাদটীকা :
মন্তব্যের ঘরে আভাস আছে


__________________


হঠাৎ গুমোট গরম
আকাশের চোখেমুখে অস্ফুট দম
কুয়াশার চাদরের মত ঢাকা সারা গায়
মাটির বিরহে বুঝি কেঁদেছিল বেনোজল
ঝড়োমেঘ উড়াল দেবার আগে
দলছুট হওয়া সওদাগরি সাম্পানে
ফিরতি পথ ধরে ক্ষুধিত ধীবর
থমকে গেছিল তীরের বাজার
হাটুরে পারাপারের কেরায়া নায়
অঘোষিত ঝড়গতি বেড়ে গেলে
প্রশান্ত জলকণা আর নামেনি নিচে
নিচেকার জলরাশি উঠে গেলে উপরে
তারপর নির্মম এক সত্য পরম
পুরানো লোকালয় আবার নতুন নামে
নতুন কোলাহলে ভরে 'মৎস্যগন্ধার পাড়'


দখিনের অতিথি বাতাসে যেদিন
ডুবে গেছে লবনবাহী কাঠের নৌকো
সেদিনই মরেছে লালমতির দুধেল গাই
গায়েবি মসজিদে শিরনি মানত শেষে
ফিরতে পারেনি বয়সী চন্দ্রভাণ
মলকাভাণুর বাজার জমে উঠলে
সরগরম বেচাকেনায় গমগম জনারণ্য
তারপর দুঃসহ স্মৃতি ছাড়া কিছু নেই
জনপদের  চিহ্ন মুছে গেছে লহমায়
নয়দিন পর ফিরে আসে ভাগ্যবান
গয়নানৌকার ভাঙা গলুই চেপে
মৎস্যকন্যার মত কিছু একটা হাতে ধরা
ঘোষণায় ডেকে নেয় সাহসী সুদিন
চারপাশে কমে আসে গন্ধবাহী বাতাস
জলজ মীন আর ভূমিজ মিনসের
মৃতদেহে ততদিনে ধরে যায় পচন।