দক্ষিণের পাহাড়চূড়ায় শীত নামবার আগে
নতমুখী লতাগুল্মে যখন দৃশ্যমান শিথিলতা
আকন্দ পাতার শিরায় শিরায় ক্ষয়িষ্ণু মনোবল
স্বর্ণলতার শরীরে জমে নীরবতা অধীর
        ঘাসফড়িঙের ডানায় কবে লাগবে শিশির |


সাগরমুখী পাহাড়ের পেছনের টিলায়
বুনোহাঁসদের সব বাচ্চা তখনো ফোটেনি
বেনামি ঝড়ো হাওয়ার তোড়ে
একঝাঁক ফিঙের সাথে ভুল করে
উড়ে আসে কিছু কথা বলা হীরামন
             নীলিমার শান্তি ছাড়ি দুদণ্ড আলাপন |


নতুনত্বের পাঠ শেখা হলে
এরপর আকাশ হয় নিখরচা চিলেকোঠা
দেবদারু গাছে আড়াআড়ি বাঁধা দোলনায়
যখনতখন সুখের ঘুম এসে যায়
বেদনার নামগন্ধ সব মুছে দিয়ে
হৃদয়ী হাহাকার পায় চির অবকাশ
         শোকগ্রস্ত সময়ের সাথে বিম্বিত বসবাস |


তারপর একাকীত্ব ঘন গভীর হলে
শান্তিপ্রিয় আঁধারের সাথে মিতালি করে নিলে
মৌনব্রত ভেঙ্গে সাগর পাহাড় বনানী মুখর হয়
আশ্চর্যজনক পাখিরা আর না এলে
অতঃপর অনেক অনেকদিন কেটে গেলে
অগণিত হারানোর বেদনা নিশ্চিহ্ন হলে
যাবতীয় সুখদুঃখভয়ের চূড়ান্ত স্মৃতিক্ষয়  
এভাবে একটি নিঃসঙ্গতাপ্রিয় হৃদয়ের জন্ম হয় ||