(একটি সম্পূর্ণ  সত্য কবিতা)
      ---------------------
আমার বসতবাড়ির ঝুলবারান্দা নীচতলা,
একটু দুরে একপাশে জংলা ভরা নালা;
নুইয়ে পড়া হিজল সারি,পাকুড় ডালপালা।
একটা ডাহুক পাখি রোজ সকালে,
ডাহুকী রে ডাক দিয়ে যায় নাচের তালে।
দোয়েল দারুণ শিষ দিয়ে আনমনে ধায়,
আম্রশাখায় উঁকি মেরে হলুদিয়া পাখি গায়।
জোড়া শালিক খোঁজে কিছু গোবর ঘুঁটে,
কুচকুচে লক্ষী পেঁচা,বসেই সুখী গাভীর পিঠে।
হঠাৎ করে কুমড়ো ফুলে বসে পড়ে ফিঙ্গে,
বুলবুলি ও লেজঝোলা গিলে শসা, ঝিঙ্গা।
বেগুন গাছের পাতায় বসে সেলাই করে টুনটুনি,
পুকুরপাড়ে তালগাছে,ঝুেল বাবুই বাসা বুনি।
নালার ওপার ধানক্ষেত ,দল বেঁধেছে টিয়ে,
পাড়ে বসে ছোট্ট শিশু দিচ্ছে পুতুল বিয়ে।
সাদা বক,কানা বগী ঠোঁটে গাঁথি খলসে পুঁটি;
ঈগল উড়ে, বাজপাখি ও তক্কেতক্কে ছুটে।
কয়েক প্রজাতি ঘুঘু, হরিয়াল,দেখি গাংচিল;
চড়ুইপাখি সবখানে,কার্নিশে খড়ের পাঁচিল।
কাক কর্কশ ছাপিয়ে মধুর কোকিল ডাকে কুহু
ভালো লাগে সুরেলা ডাক 'বউ কথা কহ';
কবুতর খোপ খুলে দেখি শুভ্র শান্তির ঢেউ।
'চালতা গাছে কোটরে,প্যাঁচা বড়  ঘুমকাতুরে;
গাবগাছে ন্যাকড়া মত ঝুলে রয় সব বাদুড়ে।
পৃথিবীর সব পাখি আসুক আমার বাড়িঘরে,
নাম জানা অজানা,সব পাখি,সব দেশ ছাড়ি।
সবকিছু দিয়ে দিবো পাখিদের নামে লিখে,
ছানাপোনা ও এসে পড়ো উড়াল শিখে।