(বাংলাভাষায় কথা বলা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অধিবাসীদের শ্রদ্ধায়)
-----------------------
প্রাচীন মেসোজোয়িক যুগের শেষভাগে,
ক্রেটাসিস অধিযুগ চৌদ্দকোটি বছর আগে;
ইন্দো অষ্ট্রেলীয় ও ইউরেশীয় প্লেট সংঘর্ষে
হিমালয় সৃষ্টির ধারায় দুই দ্বীপপুঞ্জ আসে।


পাঁচশ বায়াত্তর দ্বীপ  ছয় স্তর মাটির কুঞ্জ,
প্রকৃতি ভূমি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ;
বসতি আটত্রিশ দ্বীপে সাগরতীরে গর্জন
প্রবাল ভরা সমুদ্রতট সৈকতরেখা নির্জন


দশ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখায় বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ  
প্রায় সহস্র প্রজাতি স্থলচর উভচর সরীসৃপ,
রেখাংশ উত্তরে আন্দামান দক্ষিণে নিকোবর
পূর্বে আন্দামান সাগর পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।


প্রাণকেন্দ্র পোর্ট ব্লেয়ার,অ্যবারডিন বাজার
চিড়িয়াটাপু,করবাইন স্কোভ,দৃশ্য মজার!
রসদ্বীপে জাপানি স্মৃতি ভাঙ্গাচোরা বাঙ্কার,
ভাইপারে ও সেলুলার জেল স্বদেশী হুঙ্কার।


ভারত মহাসাগর মাঝে ছেঁড়া দেশ ভাসে,
এখানে আকাশ গোধূলি সাগর একত্রে হাসে
ইংরেজি হিন্দী তেলেগু তামিল নিকোবরি
মধুর ভাষা বাংলা মুখে প্রয়োগে নয় সরকারি।


হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান বিরাজিত সাম্যের গান,
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মসজিদ মন্দির সমান;
বাঙ্গালি সংসারচিত্র সবুজ বন,ফসল চাষের
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রতিচ্ছবি যেন বাংলাদেশের।