আমার তখন ছত্রিশতম বসন্তের গীত,
তোমার মাত্র কাটিয়ে উঠা আটাশতম শীত;
খোলা জীপগাড়িতে শেষ ভ্রমণ শহর ময়
আঁকড়ে থাকা নিষ্প্রয়োজন তুমিই নির্ভয়।


টিলার গা ঘেঁষে সুউচ্চ যত পাহাড় রয়
অনেকবার সেথায় পৌঁছেছি নির্ভাবনায়,
সাকী তুমি,আসক্তি হীন থেকেছি সুরায়;
উড়ন্ত মেঘ ছোঁয়াছুঁয়ি নীলগিরি চূড়ায়।


সমুদ্রস্নান জোয়ারজল নিঝুম দ্বীপ অরণ্যে,
মাখামাখি নয় মৌণতায় ডুব প্রেম তারুণ্যে
বিলিয়েছি দুজন উজাড় চূড়ান্ত সে সমর্পণে
অকারণ সমাপ্তি যতি চাইনি কেহ সন্তর্পণে।


তোমার শখের ভ্রমণ আমায় ঘিরে পরিভ্রমণ,
অজানা জানা আমাতেই করনি পরিব্রাজন
ভ্রমে অকল্পনীয় ছিল দুরারোগ্য ব্যাধির চিহ্ন,
ব্যতিব্যস্ত ভালবাসায় ভাবনা আসেনি ভিন্ন।


এখন বসন্ত বিবর্ণ শীত ও কাটে অনুষ্ণতায়
দখিণা সমীরণে আনমনা অসুখী বিতৃষ্ণায়,
পাহাড় সমুদ্র ঝর্ণায় সঙ্গীহীন তোমার সায়
প্রলাপ আলাপে হৃদয় শুধু তব পানে ধায়;


এত বেশি কেন দিলে নাই বা যদি রহিলে!
স্রোতস্বিনী ছলছল কেন দীর্ঘ না বহিলে?
হাসিমাখা হাসিমুখে পলাতকা হেসে খেলে!
চঞ্চল চক্ষু মুদিলে কেন চকিত ক্ষণিক মেলে?