হাজার গ্রামে হাজার মাঠ শূণ্য পড়ে রয়,
লালদিঘী মাঠ কতেক আছে বলীখেলা নয়;
দিদার বলী চ্যাম্পিয়ন সবাই কি তা হয়?
জব্বার বলী করেছেন চালু এখনো অক্ষয়।


ক্রমাগত বাড়ে নাম তালিকা ও মূল্যায়ন,
সমাপনী খেলার আশায় শতশত পালোয়ান;
মাংসল পেশী আভাসে শক্তি নয় পোশাকি
বড়বড় কুস্তিগির বাছাই পর্বে হবে কেন ফাঁকি?


ভুলে ভরা বীর বাহাদুর নাম বলে 'বলিদান'!
খেলার নামটাই জানেনা কেমনে হবে প্রধান!
বাছাইপর্ব উতরে ও যায় সবলের সাথে দুর্বল
ভুল প্রক্রিয়ায় হারতে বসে প্রকৃত ঐ সবল।


শেষ পর্ব লড়াই যত, নির্বাচক চাই বোদ্ধা;
মোরগ লড়াই বুঝেনা বিচারক বলীর যোদ্ধা!
কুস্তি যুদ্ধ সমাপ্ত হয় জয়ী দুর্বল মল্ল বীর,
ভুল কৌশলে হারবে কেন প্রকৃত কুস্তিগির?


মোদ্দা কথা ঐতিহ্য, ক্ষুদ্র বৃত্তে কেন ম্লান?
শতবর্ষ প্রবীণ হলে ও শুদ্ধতা থাক অম্লান।
আয়োজন ঠিক কৌশলী ভুল রাখবে কেন অবদান!
প্রকৃত বলী যোদ্ধা যেন ধুলোয় গড়াগড়ি না খান।
................................
পটভূমিঃ
জব্বারের বলীখেলা এক বিশেষ ধরনের কুস্তি খেলা, যা চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে প্রতিবছরের ১২ই বৈশাখে অনুষ্ঠিত হয়।এই খেলায় অংশগ্রহনকারীদেরকে বলা হয় বলী। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তি বলীখেলা নামে পরিচিত। ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এই প্রতিযোগিতা জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। জব্বারের বলীখেলা একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যমন্ডিত প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত। বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদিঘী ময়দানের আশে পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বৃহৎ বৈশাখী মেলা
★★★
(এক আসরে পক্ষপাতদুষ্ট ভুল নির্বাচকমণ্ডলী ও ভুল ব্যবস্থাপনা হেতু কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়া ব্যতীত শতবর্ষ পার হয়ে ও এই খেলা চলে আসছে আমাদের সংস্কৃতির একটা সুন্দর অংশ হিসেবে। চিরদিন বেঁচে থাক জব্বারের বলীখেলা আপন মহিমায়)