নদী ধারে যেয়ো না সখী ভিজবে শাড়ির পাড়,
শ্যাওলা পিচ্ছিল স্রোতোবহা ভাঙ্গা নদী পাড়;
হঠাৎ খুশির আবেগ ভরে নামলে হাঁটু জলে
সর্বনাশা তার সম্ভোগ জোর খাবলে দিবে ছলে!


বেলাভূমি ভিজে সারা জোয়ার জলের রাগে,
সূর্য ডোবার সহজ তাড়া গোধূলি লাল জাগে;
দোহাই প্রিয়ে,উঠে এসো বড় ঢেউয়ের আগে।
বালিয়াড়ি টানতে পারে ভীষণ ভয়ের অনুরাগে!


ঢেউয়ের স্তনে ফেনিল দুগ্ধ হয়োনা তাতে বিমুগ্ধ,
আলোড়িত ক্ষণে সজল শব্দ বাসনা ক্ষতে বিদগ্ধ;
বহুবিধ আকার সৌন্দর্য সেথা নিপাট অঙ্কিত মধুর,
বিবিধ প্রকার কদর্য কথা কপটতা শঙ্কিত বিধুর!


নটিনী নদীর মগ্ন নৃত্যে, হয়োনা সখী উদাসী;
তটিনী তরঙ্গিণী নগ্ন সত্য, হতে পারে সর্বগ্রাসী!
নজর দিওনা প্রতিবিম্ব চন্দ্রে সন্ধ্যা নামিলে,
সজোর টানে বিলম্ব জোয়ার ভাটা থামিলে।


এইখানে থাকো এই হৃদয়ের পাশে, শুধু একা;
দূর পাণে রাখো বিদায়ের আবেশে ধুধু রেখা।
আমি ও ভালবাসি নদী তোমারি মতন,
তুমিই প্রিয় বেশি, নিরবধি করি বাহারি যতন।
________________________________
মালাক্কা প্রণালী।
পোর্ট পাণ্ডাণ পূত্রী, (১৯-১২-২০১৪)