শৈশব মধুর ক্ষণ খুব মনে আছে,
স্বর্ণলতা ঝোপ ছিল দেবদারু গাছে;
হিজলের নুয়ে পড়া শৈল্পিক ডালে,
সোনা রোদ ছুঁয়ে যেত বৈকালিক গালে।


পুরনো দিনলিপি ভর্তি বিবর্ণ লেখা,
প্রকৃতিজ বহুরূপী গন্ধ বর্ণ দেখা;
অদূরে খোলা মাঠ সুদূর দিগন্ত রেখা,
কৈশোর কপাটযুক্ত, অপরিপক্ব শেখা।


কত তাড়াতাড়ি পেরিয়ে সময় সচল,
মুহুর্তের ভগ্নাংশ ছাড়িয়ে আমিই অচল;
স্মৃতির স্বর্ণালী গ্রাম এখনো প্রিয়দর্শন,
চাকচিক্যময় রুপোলী যৌবন হয়নি কর্ষণ।


তবুও ফিরে আসি হেথায় বারবার,
আরো বেশি হৃদয়েরে চাই শেখাবার;
বৃক্ষ কমেছে নদী ও মরেছে হারিয়ে গতি,
ভাবনা ঠকেছে শহরে ধুঁকে, প্রেরণার দুর্গতি।


আমি সেখানেই মরিতে চাই,
চির ঠাঁই চির সুখ এখানেই পেতে চাই;
যথেষ্ট হয়েছে! সুখ দুঃখ পরিণত
পূর্বসূরির শয়ন সান্নিধ্যে চিত্ত এখন রত।