কড়া নাড়ানোর শব্দ এলো, কে ওখানে!
নাকিসুরে ঘুমকাতুরে মিনমিনে টানে,
আঁমি নিঁখিল গোঁ দাঁদা, ছিলাঁম জাঁপানে
কিঁছু কুঁথা আঁছে বোঁলব কাঁনে কানেঁ।


যতদূর জানি, গরল গিলেছিল 'নিখিল'
শবদাহহীন পচাগলা শরীর হয়েছিল নীল,
মরে এখন ভূত হয়ে, সে করছে প্রতিবাদ!
যাক বাবা, এতদিনে ভূত দেখা পূর্ণ হলো সাধ।


এগিয়ে দ্বার খুলি, নিখিল কোথায়! ছায়ামূর্তি
অদূরে একদল সাঙ্গাত, গলাগলি জড়িয়ে ফুর্তি;
তারস্বরে ছাপিয়ে গেলো দলবদ্ধ উল্লাস ধ্বনি,
মৃদুস্বরে বলেছিল যা, আজো কাঁপে সব ধমনী।


'নলিনী' বধূরে রাখি, দূরদেশে ছিলাম আমি পতি;
পোয়াতি বধূর কি দোষ!  নারী ছিলো সে সতী।
লম্পট ছমেদ খাঁ, সাঙ্গপাঙ্গ তারাই ছিলো দুর্মতি;
গত জন্মে তারে মেরেছি, দেখেন দঙ্গলের দুর্গতি।


নিখিল জগতের মাঝে সুখদুঃখ করেনি কিছু লীন,
মধুময় জীবনে ছোবল হেনে, অসুর করেছে বিলীন।
আলাদীনের চেরাগ নই, আমি ভূত সাদাসিধা!
দিনে ঘুমাই রাতে জাগি, শুধু ডেকে নিবেন দাদা।


পূর্বজন্ম নামমাত্র, ধর্মকর্ম যা ছিলো হয়ে গেছে শোধ;
নির্দ্বিধায় বলেন অপরাধ, করবো সাধ্যমত প্রতিরোধ।
নিখিলেরে ডাকি, ইচ্ছে হয় প্রতিরোধে গড়ি নিত্য জয়!
অসুখে থাকি, প্রতিরোধ চাই, প্রতিশোধ ঘৃণ্য হত্যা নয়।