অমরাবতীর নন্দন কাননে আকাঙ্ক্ষিত নধর অঙ্গ,
মোহাবিষ্ট  হয়ে দিনগত, হতে ও পারে স্বপ্নভঙ্গ !
সজ্জিত বীথি ফুল ও ফলে, অগণিত অপ্সরী নন্দনা!
পাওয়ার লোভে করোনা ভুল, অশুদ্ধ হবে বন্দনা।


আজান ধ্বনি শোনামাত্র তড়িঘড়ি মসজিদে যাও!
জিন্দাপীর, শাহ, অলি, নজরানা, ভজন বাউল গাও!
গিরি শিখর, দেবমন্দির, স্নান ও দানে পুণ্য চাও;
পীরের মাজার, সত্যনারায়ণ আখড়া, শিরণি ও দাও?


অন্তরে আভিজাত্য আভিজন, গভীরে লুকানো ছল;
প্রার্থনারত কেঁদেকেটে ভাসিয়ে দাও চোখেরজল !
নিষ্ফল যদি এই দুরভিগ্রহ, পাপপুণ্য নির্ণয় কি তবে?
বিধাতারে চাও মর্মমূলে, তিনিই তোমার হবে।


শাশ্বত স্রষ্টা ধর্ম ও কর্মে অহেতুক বিরক্তিকর বিরোধ,
ছড়ানো জালে জড়িয়ে থেকে হাস্যকর হবে নিরোধ!
উপাসনালয়, ক্রন্দন চীৎকার, প্রভুর প্রতি আকুতি;
হৃদয়ে অশুদ্ধ প্রবাহ রেখে বৃথাই হবে অতি কাকুতি।


নির্জর, নিরাকার, যেই নামে ডাকো, সমান ভালবাসে;
পাপপুণ্য নির্ণায়ক তিনিই, স্পর্ধা রেখোনা আভাসে।
বাহ্যিক বিনয় অন্তরে অভিনয়, হয়োনা সেই আবেদক!
নিঃস্বার্থ নিবেদিত প্রভুই জানেন, প্রকৃত কে নিবেদক।
...................................................................
___________ মুদ্রিত© প্রকাশিত ________________