স্তন্যপিপাসু কাঁদলে শিশু, উতলা হয় ' মা '
সন্তানহারা চিরদিন কাঁদে, মায়ের নেই উপমা
কাঁদলে আকাশ, বৃষ্টি ঝরে জল কথা কয়
সপ্তবর্ণা রামধনু সাজ আরো রঙিন হয়।


কেঁদে কিশোর বায়না, কিশোরী পুতুল গয়না;
বদ্ধ খাঁচায় প্রাণ সহেনা, কাঁদে পোষা ময়না,
উঠতি বয়স শরীর কাঁদে, ধৈর্য স্থির হয়না!
সদ্য যুবক যুবতী কাঁদে, দেখে অধীর আয়না।


বনে বনে পাখি কাঁদে, সবুজ বৃক্ষ যাচে
ধরণী কাঁদে নীরব, মানব কূলের কাছে!
চাঁদ সূর্য কাঁদে, নরম জোছনা গরম রোদে!
আঁধার ছোঁয়া জীবন কাঁদে, হারানো বোধে।


সংসারী কাঁদে, অর্থ বিত্ত প্রেম প্রণয় আড়ালে!
গৃহিণীপনা ঘরকন্না কাঁদে, দ্বারে অভাব দাঁড়ালে
দাম্পত্য কাঁদে নিরানন্দ দুঃখের নিত্য অসুখে,
উপোসী অবুঝ সন্তান, কাঁদে করুণ চোখে মুখে।


সচিত্র পৃথিবী বিচিত্র মানব, বহুরূপী কান্না;
সুখদুঃখভয়, প্রেম বিরহ জয় অঙ্গশোভা পান্না!
সশব্দ নিঃশব্দ রোদনধারা যত, অনুভূত হয়;
রোদনধ্বনি করেনা পুরুষ, জয়ের আশায় সয়।


অপাংক্তেয়, অব্যক্ত কত কান্না, ঘাত প্রতিঘাতে
একাকী পুরুষ নীরবে কাঁদে, নির্জন মধ্যরাতে।।
----------------------------------