এখানে প্রথম মানব এইতো পদচিহ্ন
কল্পলোক আশ্রয় আমি গম্ভীর অভিন্ন
নির্ঘুম রাত সাথে কিছু জাগতিক মায়া
সূচনাকাল থেকে ক্রান্তিকালের ছায়া!


সারারাত বসে বসে পর্বতদেশ আবেশে
আদম সন্তান এক নগন্য কৈবর্ত বেশে
ভুলে গিয়ে চাষাবাদ, ছেড়ে শিকারি নেশা
খুলে দিয়ে বেশভূষা, ধরে কারকুন পেশা!


অধিষ্ঠিত জন আমি, জানিব বিচিত্র মিথ
ইভের আদ্যপান্ত বা রহস্যাবৃত লিলিথ !
সারারাত চাঁদহীন তবুও গোলাপি আলো
দেখাশোনা অনিমিখ চোখমুখ ঝাঁঝালো।


আলোক দ্যুতিময় চোখ অঙ্কিত ভ্রু
সোনালী মধু ঠোঁটে পত্র ঝালর আব্রু
দ্বাদশী চাঁদের মত কপাল, কুচকালো চুল
বক্ষমূল নাভিদেশ জড়ানো অচেনা ফুল।


গৌরি পারিজাত বদন, দাঁত দুগ্ধ সাদা
সুহাসিনী সুভাষিণী সুবাসিত সুর সাধা
সহসা গর্জে আদম চোখাচোখি হতে বাধা
তিমির টুটি ডাকে তিতির পুনঃ সাদাসিধা।


অচেনা গন্ধে বাতাস ভারী, ভাঙ্গিল স্বপন!
অজানা মন্দে নিশ্বাস ছাড়ি রঙিলা গোপন।
________________________________


পাদটীকাঃ
আদম চূড়া বা শ্রী পদ বা পবিত্র পদচিহ্ন, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের শ্রীপাড়া প্রদেশে অবস্থিত একটি পর্বত চূড়া যা খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম এই চার ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি পবিত্র স্থান। এই চূড়ায় একটি পায়ের ছাপ আছে যার দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি গৌতম বুদ্ধের, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি তাদের দেবতা শিবার এবং মুসলমান ও খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন এটি পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর।


[ এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সভায় পোস্ট আছে, আপাতত আদম চূড়ায়  না গিয়ে আলোচনা সভা ঘুরে আসুন ভাল লাগবে আশা করি ]