নদীতীর ভেঙ্গে পড়ে সরেছে পাথর,
ঘাসের বুকে যে শুয়েছিল নিথর!
পাথরচাপা ঘাস হয়েছিল উন্মনা,
পৌষের রাতে এলো সূক্ষ্ম জলকণা।


কতবার ছুঁয়ে গেল ঘাসের উপর
একফোঁটা জল হবার চেষ্টা পরপর,
শিউলি ফোটা ভোরে সমাপ্তি নিশির,
হলুদ ঘাসের শরীর জড়ালো শিশির।


শিংশপা বৃক্ষ এক অদূরে দাঁড়িয়ে,
বটঝুরি ঝুলেছিল কাঁটালতা ছাড়িয়ে,
ওপারে খোলা মাঠ নতুন আশার চর
বাতাসে লুকোচুরি সাজ সবুজ আসর।


এপারে বিষন্ন ঘাস একফোঁটায় সজল
ওপারে প্রসন্ন সবুজ শতধারা নিশাজল,
নির্জন মায়াদ্বীপ সেথা, দেখে না কেউ
নদীভরা জল হেথা, উঠে না ঢেউ।


হলুদ ঘাসের মন খারাপ, বুকটা খালি
কাজল ভ্রমর ছড়ায় পরাগ শেফালি,
পাষাণ শিলা জড়িয়ে ছিল বুক জুড়ে
শিরীষকুসুম ঝরে তায় কোমলতা মুড়ে।


পাথর সরে গেছে পাথারের টানে দূরে
ঘাসের বুকে হলুদ ক্ষতে স্মৃতি আদুরে,
ফুলের ছোঁয়া সহেনা হৃদয় জগদ্দল চায়!
কঠিন স্থায়ী সুখ ভাল, শিশির গড়িয়ে যায়।