হাঁটছি একা আনমনে কোন এক অচেনা পথে ,
হঠাত কিছু দূর পর ,পায়ে যেন কিসের ছোয়া ,
তাকিয়ে দেখি এক পথশিশু ,
বলে দাদাভাই ,
           দাও দাও আমায় পায়ের আঘাত ,
           দাও গো আমায় দাও ,
           ইহা ছাড়া তোমরা কি সুখ পাও ??
আনমনে তা শুনেই থাকি ,
বলি কি হয়ছে আমায় একটু বল ,
চিন্তিত মনে খেয়াল যে আমার নেই ,
ক্ষমা করো আমায় ,ক্ষমা করো ।


কি যে বলি তোমায় দাদাভাই ,
একটা বড় ,সুগন্ধি ছড়ানো দাদাভাই ,
হঠাত হাঁটতে গিয়ে আমার পা লাগে তার সাথে ,
এই জন্য ,দাদাবাবু আমায় দিল এক তাপ্পর ,
লাথি সাথে একটু থাবা ....
সেই আঘাতে আমি এই পথেই পড়েই রয় ,
একটু খানি সুখ ,আদর আমারো তো চাই ,
পথচারী শিশু বলে আমরা এই আদর পাই ।
সুগন্ধি ছড়ানো নেই আমার ,
আছে দুর্গন্ধ আর কষ্ট রাশিরাশি ,
প্রতিদিন এমনি বড় বাবুর খেতে হয় আমার ফাঁসি ।


হঠাত অজানায় বোবার মত দাঁড়িয়ে আছি আমি ,
ব্যতীত মনে ,মনের মাঝে অবুঝ পাগলামি ।
সাথে আমার মুখবেয়ে চক্ষু হতে কয়েকফোঁটা অশ্রু গড়ায় ,
কেন কেন ,কেন তবে বড়বাবুদের এমন বড়াই ।
আমায় কি বড়বাবু দিতে পারবে এনে ,
সাদা দেহের সাদা রক্তের একখানা প্রাণ ,
কিংবা কালো দেহের কালো এক প্রাণ ....
সাদা বা কালো ,যা তাহার না হৌক তুল্য ,
এনে দিক আমায় একখানা সাদা বা কালো রক্তের মানব ,
হৌক যত মূল্য ।
বড়বাবু ,
তোমার ছেলের মতই পথশিশুও এক সৃষ্টি ,
রক্তে মাংসে গড়া ,টাকাই নয় দৃষ্টি ।
পথশিশু বলে সে নয় কুকুরের সমতুল্য ,
যদি তা না হয় ,লাথি দিয়ে দিলে কেন এর মূল্য ।