তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি ভাষা,
তুমি খুব কম ঘামতে, আমি জানি,
হালকা ঘামে ভেজা জামা এর ভাষা,
কপাল এ বিন্দু বিন্দু জলের ভাষা,
আমি বুঝতে পারি।
তাদের আমি বহুবার বলেছি,
বহুবার বুঝিয়েছি,
মুখ এর ভাষা অধিক, মাহাত্ম্য কম,
চোখের ভাষা,স্বল্প তবে মাহাত্ম্য অনেক।
প্রিয়তমা চোখে সবাই বিভোর,
আমি বুঝতে পারি বাবা,
প্রিয়তমার চোখ হিংস্র,বিরহের।
লাল চোখে তাকিয়ে থাকা শৈশবের ভয়,
গোমরা মুখের ভবিষ্যত চিন্তা,
আমি শিখে গেছি, যে চেহেরার ফটোকপি।
তারা এখন তোমায় দেখে না,
তোমার মত হুবহু অন্য এক মুখোশ।
আমি তাদের বলেছিলাম,
তখন তুমি ছিলে বলে,
তারা বিশ্বাস করে নি আমায়,
আমার সাথে তর্কে লাগিয়েছিল।
একা সময় কাউকে বলে আসে না,
আমি তা বলতেই,তারা প্রেমিক/প্রেমিকা ভেবেছিল,
আমি তা বলতেই,তারা প্রিয়তমা হারানোর সময় ভেবেছিল।
তারা বাবা হারানোর একাকীত্ব,
ভাই কিংবা একমাত্র বোন হারানোর একাকীত্ব,
মা হারানোর একাকীত্বের সাথে পরিচিত না।
আমি বাবা তোমার চোখ দেখেই জেনেছি,
চোখের ভাষা অনেক গভীর।
তোমার মুখের মুচকি হাসি দেখেই বুঝেছি,
হাসির মাহাত্ম্য অনেক।
মুখ ছাড়াও কথা বলা যেত,
মুখের ভাষার চেয়েও অধিক গভীর যন্ত্র আছে,
তা তোমায় দেখেই আমি জেনেছি।
সে ভাষা এখন বাস্তবতার মতই নীরব।
আগে নিরব হলেও দৃশ্যমান,
এখন তা অদৃশ্য।