প্রথম যেদিন ঘুড়ি উড়াতে শিখি-
সেদিন জয়'দের বাড়ি ক্রিকেট খেলতে যাইনি।
সারাটা বিকেল অস্থির ছিলাম!
আকাশে উড়ার আনন্দে ডুব সাতার না জানা শিমুল'রে ফিরিয়ে দিয়েছি।
দুখীমনে তার চলে যাওয়া দ্যাখেছি,
অথচ সাহস হয় নি নাটাই গুটিয়ে আকাশ ছেড়ে পালাবার।
শিমুল, জানিনা কোনদিন ঘুড়ি উড়িয়েছিস কি-না।
যদি কোনদিন পলিথিনে ভর কোরে আকাশ ছুঁয়ে থাকিস,
তবে জেনেছিলে সেদিন তোকে প্রত্যাখ্যানের সরল অনুচ্ছেদ।
বস্তুত নীল ছোঁয়ার অনুভূতি ভীষণ অন্যরকম।
এক যুগ পেরিয়ে গ্যাছে-
কৈশোরের শেষ দিন কেমন কাটিয়েছি মনে নেই।
এখন সময় আমাদের ঘুরাচ্ছে রোজকার রুটিনে।
যুবকের বাহানায় পায়ে শিকল বেঁধে দিয়েছে।
শহরের অলি-গলি, পাথরের আড়ালে আমাদের আর্তনাদ বেজে উঠে না।
অথচ একদিন
দাওয়া-খাওয়া সব ছেড়ে স্বেচ্ছায় ক্লান্তিহীন দৌড়েছি।
শৈশব-কৈশোর পতনউষারের ধূলোয় আধখানা ডুবে থাকতাম।
প্রথম সাতার শিখা জয়'দের পুকুর;
মূলত, শীত মৌসুম ছাড়া সারা বছর ডুবে থাকতাম শেওলার মতো।
গোয়াল ঘরের পাশে বাঁশের স্ট্যাম্প গেড়ে অজস্র বিকেল পার কোরেছি।
এখনও বিকেল হয়,
শুধু উদ্যম সৈকতে পা ফ্যালা হয় না।
ঘাসের চিবুকে শিশিরের গলে যাওয়া দ্যাখে সন্ধ্যা নামে
গহীন অন্ধাকারে চেতনাহীন কয়েক যুগ কেঁটে যায়।
বরফ গলে হৃদয় থেকে হৃদয়ে
ফিরে আসার পথ না পেয়ে গাঙচিল ভুলে যায় হিয়ার স্পন্দন।
পাঁজরের হাড়ে ধোঁয়াটে ব্যথা
ঠিক য্যানো
ডানার ব্যর্থতা লিখে রাখে পালক।