শেষবার দুঃখ অনুবাদ কোরে
কী পেলাম?
মাত্র নয়টি কবিতা।
হঠাৎ-ই একদিন জানালার দীর্ঘশ্বাস বলে উঠলো স্মৃতিতে কোনো বিরহ অবশিষ্ট নেই।
তখনো বিকেল পড়ে নি-
রোদ বিরতিহীন এঁকে যাচ্ছে ঘামের শরীর।
দাওয়া শেষে উঠোনে স্বপ্নেরা ঝিমুচ্ছে....
শহুরে রাস্তাগুলো সুপ্রাচীন নয়।
তবু
জনপদ জানে না মেঘেদের দুঃখ।
দ্বিপ্রহর টগবগিয়ে ফুটছে মৃত্যুর নেশায়।
কিছুদূর এগিয়ে গ্যালেই আছড়ে পড়বে কয়েক টুকরো বিকেল।
যখন এখানে প্রেমের অভাব হবে না।
নতুন অতিথিরা ভিড় করবে পার্কের বেঞ্চে।
সময় বদলাবে মহাকালের নিয়মে!
শুধু শতাব্দী বয়ে বেড়াবে মৃতের চেতনা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বাহারি শব্দে এঁকে যাওয়া মানুষের প্রার্থনায়।
সেদিন নীলখামে দেখলাম কতক বোবা প্রশ্ন!
ভাষা নেই অথচ দারুণ অভিব্যক্তি।
ঠিক য্যানো বসন্তের গান গাইছে।
মৃতেরা এতো অসহায় বাঁচে কী করে!?
তারা কি ভুলে গ্যাছে পানশালার পথ?
কিংবা
বাহ্যিক কোনো অভাববোধে ছিটকে গ্যাছে সময়ের বৃত্ত থেকে?
পিয়ন, অপেক্ষায় আছি!!
আর কতো?
তার প্রিয় ঋতু কী
শুধু এটা জানাবে বলে গত দুই বছর অপেক্ষায় রেখে দিলে।
এক অযুত প্রশ্ন তোমাকে ঘিরে আছে।
সোনালি রোদে হলুদ খামের দেখা পাব বলে জানালার দুঃখ হয়ে বেঁচে আছি।