এদিকে-
কাঁকরোল ফুল মুগ্ধ ঝিঁঝিঁদের আবৃত্তি শেষে।
ধ্যানমগ্নতা এখনো গভীরে পৌঁছায়নি।
অথচ আসর জমে আছে!
ভাঙ্গা শহর দখল গিয়েছে জোছনার বর্ষণে।
আধারশূন্য ভাবনার মঞ্চে কবি দাঁড়িয়ে-
কিছু কালজয়ী রচনা হোক,
জানালার গ্রিল বেয়ে বেড়ে উঠা দীর্ঘশ্বাস
অথবা প্রিয়কে নিয়ে।
সময়ের কারুতে গাথা থাক মুহুর অম্লানমুখ।
যেখানে এগিয়ে যেতেই পিছিয়ে আসে মহাকাল।


বেলা ঘনাচ্ছে মরুর দিকে।
রাতগুলো নিঃসঙ্গ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
বন্ধ হাতঘড়ি ও কবিতা ছাড়া অবশিষ্ট কোনো প্রার্থনা নেই আমার এই অবেলাতে।
বহুকাল পর- শ্রাবণ নির্ঝরে প্রিয় চাঁদ হাসছে।
পৃথিবী ও জোছনার যুগলসন্ধিতে
প্রকৃতি ব্যস্ত।
চলুন প্রয়াতা রাত যাপনে নিমগ্ন হই।


এই অদ্ভুত মোহনীয়তায় যেসব যুগলদের স্নান শেষ হয়নি,
কল্পনা করুন পূর্ণিমাতিথি শেষে গাঢ় অন্ধকার।
যেখানে অতীত শুষে নেয় গল্প, সত্য ও জীবন।


বস্তুত, কবিতা অথবা নিকোটিন সব-ই সাময়িক প্রফুল্ল।
তবুও পার্থক্য ডানা মেলে।
একপাশে জীবন অন্যপাশে তুমিহীন মৃত্যু।