পৌষের প্রথম সপ্তাহে এক বিষণ্ণ দুপুরে-
জানালায় চোখ এলিয়ে তোমাকে ভাবছিলাম।
বিষাদের নূপুর পা'য়ে তোমার হাসিরা বিরতিহীন ভাসছিলো স্মৃতির মোহনায়।
আজকাল সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই
হঠাৎ-ই হৃৎপিন্ডে টান পড়ে।
সকালের আলসে রোদে কেমন জানি থেমে যাই!
জীবনের বৃদ্ধি ঘটে না আর।


শীতকালীন এই ব্যাধিটা বড্ড দুর্বল কোরে দ্যায়।
সম্ভবত দূরত্ব বাড়লে এমনটা হয়।
এই যে, অব্যবহিত প্রতিচ্ছবি থেকে গ্যালেইতো পারতে,
অসুখের জড়তায় কেনো বাঁচতে গ্যালে?
তুমি জানো,
পশ্চিমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে, আপন ভাবা তোমাকে-
পুবের বারান্দায় বড্ড পর মনে হয়!
পরিচিত আঙুল দূরত্ব এঁকে যায় দৃষ্টিসীমানার ওপাশে।
অভ্যাসের কাঁটাতারে বিদীর্ণ হই ক্ষণে ক্ষণে।
অথচ সেখানে একটি বদ্ধ দোয়ের ব্যতীত বিশেষ কোনো ভিন্নতা নেই।
শুধু তাই নয়,
রাতের কোলাহলে তোমার চিহ্ন ফুটে মৃত্যুর সাময়িকে।


পিঁপিঁলিকার অন্তিম সংস্কারে উপস্থিত-
সময়কে অনুবাদ করুন আপনাদের হদয়ে।
অতঃপর দ্যাখুন আমি ছিলাম গতকালে
এবং আছি সকল বর্তমানে।


প্রাক্তনের কাঙাল ছাঁয়ার মতো,
রাষ্ট্রের অনীহা নিয়ে
সেদিন জানালা খুলেছিলাম।
অতঃপর দেখলাম
মানুষের আহাজারিতে সময় থেমে নেই।
তারা অনর্গল বয়ে যাচ্ছে তেপান্তর পেরিয়ে-
কোথায় যাচ্ছে তারা
মৃত নক্ষত্রের বেশে?
যেখানে মানুষ নেই, মন নেই, ভাষা নেই, ভালোবাসা নেই।