বসন্তের আহ্বানে তোমাকে অভিবাদন আমার রাত সোহাগের কান্না।
বহুকাল বিষণ্ণতায় চোখ এলিয়ে রাত জাগি নি
অথবা তোমাকে আঁকিনি কোনো সস্তার পেনসিলে।
কবিতায় সহস্র জনম পেরিয়ে গ্যালে যেমন কোনো দুঃখবোধ থাকে না।
তেমনি আষাঢ়ে তোমার গল্প লিখলে সময় খুনের কোনো অভিযোগ ওঠে না।
ভোরের অবসাদে জড়তা গিলে
স্বপ্ন দেখি ছাঁই রঙের আকাশে,
পূর্ণিমার আধারে বিলীন হওয়া
এক অযুত নক্ষত্রে।
আঙুল ফুড়িয়ে এলো আলোছায়ার দুঃখ খেলে।
জেনেছি,
সময় স্বস্তিতে নেই!
পথ হারিয়েছে ৩৬০ ডিগ্রী কেন্দ্রে।
কার্ল মার্ক্সে আমরা কী পেয়েছি?
সেটা বোঝার আগে আমাদের প্রয়োজন এটা জানা যে-
আমরা কি বিস্তৃত হচ্ছি অসময়ের বিশেষণে?
পরিচিত নগরীর রোদ্দুরে, বৃষ্টির খামে অথবা তলিয়ে যাচ্ছি মৃতের শরীরে ঘুমের অভিপ্রায়ে।
আশ্বিন মাসে দাঁড়িয়ে
ফাল্গুনের উষ্ণতায় হাঁটছি কেনো?
আর কেন-ই-বা
পৌষ-সংক্রান্তির
গোধূলিহীন বিকেলগুলো ব্যয় করছি পরস্পরের চোখ সাঁতরে।
আকাশে তাকাও। দ্যাখো জোছনার বিজ্ঞপ্তিতে নক্ষত্রেরা কেলাসিত হচ্ছে
ক্যানভাসে ধূসর পৃথিবী-
যেখানে সাজানো
কয়েকটা কেদারায় বসে আছেন উপযোগহীন সময়।