হয়তো সে এখন গল্প করে বেড়ায়-
একটা পাগল ছিলো- যে পিঙ্গল বর্ণের হৃদয় নিয়ে
ডুবে থাকতো সান্ধ্যকালীন মায়ায়।
গল্প বলার ছলে যে বহুবার নিজেকে প্রকাশ করেছিলো জলের মতো।
তার অভিপ্রায়ে ভেসে উঠতো-
আমার প্রতিফলন।
এবং সে আমার নামের পাশে দুঃখ হয়ে বেঁচেছিলো।
সমস্ত আষাঢ়ের জড়তা নিয়ে সে বৃষ্টি নামায়।
আর জলের হিসেব তুলে রাখে মৌনতায়।
দাম্ভিক যান্ত্রিকতা এড়িয়ে সে নাগরিক জীবন পার করে
আর ক্লান্তি তুলে রাখে নির্ভরতার হাসিতে।
নিদ্রাহীন পেন্ডুলামের বিচরণ নিয়ে সে ভালোবাসে।
আর সময়ের হিল্লোল তুলে রাখে কৌশলী মহাকালে।
অভিমান হতে খুনসুটি'র স্পষ্ট দূরত্ব প্রথম বুঝেছিলাম তার অসংলগ্ন স্পর্শে।
কোলাহলের সমস্ত পথ রোধ করেছিলো সে!
আমার ভিতর, বাহির, স্বপ্ন, কল্প গল্প সব!
সবটা জুড়ে তার কর্তৃত্ব ছিলো।
হঠাৎ বৃষ্টির মতো আবেগ নামিয়ে
একদিন সে চলে গ্যালো অভিমানে।
এখন
আমার হৃৎপিণ্ডে তার নামে একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছি।
যেখানে স্মৃতি অনুরণিত হয় প্রাচীরে প্রাচীরে।
মোমের মতো গলনাঙ্ক তার।
এই বিশ্বাস নিয়ে গলে- "একদিন সে ফিরবে"। ফিরবেই।