(গতকাল আবার খবরে আসে মেয়েটি সতেরো বছর যার বয়স
গির্জায় বড় দিনের আগের কাজ করছিল , তখন তাকে তুলে নিয়ে  
যায় কিছু স্থানীয় ছেলে, যাদের নাম ও জানিয়ে দেয় মেয়েটি, মুখে চাদর চাপা
দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে, রেপ করে রক্তাত্ত মেয়ে টিকে ধানক্ষেতে ফেলে যায়
তারা, মেয়ে টি  স্থানীয় কোন হাসপাতালে ভর্তি।
রাতের ঘুম চলে যায় আবার আমার, যার ফসল আবার এই ঘৃণ্য লেখা)


কতোবার ছিঁড়ে মানবিক সাধ পূর্ণ?
কতোবার চেখে রক্তের স্বাদ যায় বোঝা?  
কতোবার ঘায়ে আদিম লালসা তৃপ্ত?
ষড়রিপু আছে জানি, তবু বৃথা
এ রিপুর অর্থ খোঁজা!


মুখের কথায় পাশবিকতার গল্প।
বন্য জীবনে এ রিপুর দেখা মেলেনা,
তবু কেন পশুর নামে কলঙ্ক ছেটাই আমরা?
এ রিপু তো মানব জাতির রচনা!!


মেয়েটিকে তুলে মুখেতে চাদর চাপা
ছিন্ন ভিন্ন করে ধান ক্ষেতে যায় ফেলে,
এ দৃশ্যে যে পরিচিত আজ আমরা
এ দৃশ্য তো শুধু আমার সমাজে মেলে।


পরদিন ভোরে শিরোনামে আসে মেয়ে
কাগজওয়ালার ব্যবসা কিছুটা বাড়ে,
আরেকটু খ্যাত ঘটনা ঘটলে পরে
টি আর পি র পারদ চড় চড় করে চড়ে!!


তাও কি বলবো এটা পাশবিক অভিরুচি?
তাও কি বলবো এরা পশুর চেয়েও অধম?
এ অধম রিপুর জন্ম দিয়েছ তুমি
ত্তুমি যে মানুষ!!
এ পরিচয় কি সত্যি এখনো কম?