তুমি আসলে বাতাস থমকে দাঁড়ায়,
তোমার পথ চেয়ে রাখে নিঃশব্দ বিকেল।
সন্ধ্যার রং তোমার চোখের গভীরতা ছুঁয়ে,
তাতে লেগে থাকে বিষাদের সোনালি আবেশ।
তোমার হাসি যেন কোনো সুদূর দ্বীপের আলো,
যেখানে ঢেউ আসে নরম ছন্দে,
যেখানে নির্জনতারও এক মোহময় রূপ,
যেখানে সন্ধ্যা নামে শুধু ভালোবাসার সুবাস নিয়ে।
তোমার চুল, শারদীয় রাতের আকাশ,
যেখানে তারারা নীরবে জড়িয়ে থাকে মেঘের বাহুডোরে।
তুমি যখন হেঁটে যাও, বাতাসও
নিজেকে সাজিয়ে নেয় নতুন কোনো সুরে।
তোমার কণ্ঠস্বর বসন্তের মৃদু বৃষ্টিধারা,
যা কানে এলে মনে হয়,
ফুলেরা আজো অপেক্ষা করে কারো ফেরার পথে,
তোমার স্পর্শে পুড়ে যায় সমস্ত একাকিত্বের রাত।
তোমার চোখ দুটি, নীলগিরির স্বপ্নীল হ্রদ,
যেখানে আমি তলিয়ে যাই প্রতিদিন,
তুমি জানো না,আমি কতোদিন ধরে
তোমার অস্তিত্বের মাঝে লিখে চলেছি প্রেমের কবিতা।
তুমি কি জানো?
তোমাকে ছুঁতে চাই না, কারণ ভয় হয়,
তুমি হয়তো কোনো জোছনার প্রতিচ্ছবি,
যে ধরা দিলেই হারিয়ে যাবে আকাশের অতল গভীরে।