মহাকালের এই সেই অনন্য মহান দিন, ১৯৭১ সালের ১৬-ই ডিসেম্বর,
অবাঙালীর শাসন শোষণ থেকে মুক্তি পেল বাঙালী দু'শতাধিক বছর পর ।
১৬ তে হয় ষোড়শী হয় ষোলআনা এবং হয় ষোলকলা পূর্ণ,
এই দিন আজন্ম গোলামীর জিঞ্জির বাঙালী করলো চূর্ণবিচূর্ণ ।
জানবাজী রেখে চির অবদমিত এ জাতি এদিনেই পেল প্রথম কোন জয়,
কি সাংঘাতিক কথা ! কোন মামুলী খেলার জয় নয় একেবারে দেশ বিজয় !


বিশ্বসেরা সেই হানাদার বাহিনী সমরাস্ত্র সাজিয়েছিল স্তরে স্তরে,
নিরস্ত্র বাঙালী তখন যুদ্ধে নেমেছিল শ্রেফ আবেগকে পুঁজি করে !
আবেগও এত শক্তিশালী হয় ? হ্যাঁ হয়; বাঙালীর হল তো বিজয় মাত্র ৯ মাসে !  
আফসোস ! তথাকথিত বিশ্বমোড়লেরা তখন তেমন কেউ দাঁড়ায়নি মোদের পাশে ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত গঙ্গা আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে,
দুর্জেয় বিজয় ছিনিয়ে আনলো বীর বাঙালী অসম শত্রুকে শোচনীয় পরাজয়ে ।

১৯৭১ সালের স্মরণীয় বরণীয় এই সেই মহিমান্বিত দিন ১৬-ই ডিসেম্বর,
শ্রদ্ধা কর ওরে বাঙালী শ্রদ্ধা কর বিনয়াবনত চিত্তে এই দিনটিকে শ্রদ্ধা কর ।
এই বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি রে ভাই রক্ত মূল্যে কেনা,
শপথ; এদেশকে কেউ কক্ষনো হীনস্বার্থে ব্যবহার করবোনা ।
এক মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় দু'শতাধিক বছর বাঙালী ছিল পরাধীনতায়,  
সতর্ক থাকো সর্বাবস্থায়, আর যেন কক্ষনো এ বাংলায় এমন গাদ্দার না জন্মায় ।


অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর পেয়েছি এই বাংলাদেশ পেয়েছি মায়ের বাংলা ভাষা,
এ দুটি স্বত্বার মান রাখবো সদা সমুন্নত, এর অসম্মানে করবোনা কাজ সর্বনাশা ।
বুকে হাত রেখে এসো সবাই করি পণ মঙ্গলার্থে এদেশ ও জনতার,
শুধুই তার করবো উপকার বৈ কিছুতেই কোন ক্ষতি করবোনা আর ।  
আমাদের এই দেশের তরে অকাতরে লাখো শহীদ প্রান করেছেন কুরবান,
প্রানপণ চেষ্টায় আমরা সবাই রাখবো তার মান, রাখবোও অশেষ অবদান ।।  
          
  রচনাকালঃ- রবিবার ১০/১২/২০১৭ মিরপুর, ঢাকা ।