আমার চুল নেই বড়, কাঁধেও নেইনি সেই চটের ঝোলা,
আসলে আকসার আমি যে হয়েছি এক কবি চাঁছাছোলা ।
আমি বুঝিনা গো তোমাদের কিসে মন্দ; কিসে যে ভালা ?
রসকসও তো জানিনা কিছুই, শুধু লিখে যাই খোলামেলা ।
না শুনলে আমার কবিতা তোমরা কানে লাগাও তালা,
নইলে হয়তো তোমাদের গায়ে যে ধরবে বিষম জ্বালা !
গোস্বা হয়ে তখন বলবে আমায়; এ কি শোনালেরে শালা !


রোমাঞ্চ করতে দেখি মানো না কেউ; কে ফুপু কে খালা,
তোমরা যত প্রেমই কর না কেন, বল এই করছি পহেলা !
তোমাদের মনরঞ্জনের জন্য, আমি নই কোন কবিওয়ালা,
যৌনতার সুড়সুড়ি দিয়ে হতে চাইনা বইবেচা টাকাওয়ালা ।  
জানি পাবো না কোন পুরষ্কার; পাবো নাকো ফুলের মালা,
আমি করেছি যে শুরু তোমাদের যত কুকর্ম লেখার পালা ।
অসিতে হবেনা কাজ আর, তাই মসিকেই রেখেছি খোলা....


একাকী পার্কে বসে নিরবে ভাবতে কাটাবো যে একবেলা,  
নির্লজ্জ কুকুর যুগলদের কীর্তি দেখে; যায়না ঐ দিকে চলা।
তোমাদের জন্য কবিতা লেখে কবরে পোহাবো না ঝামেলা,
দিনে দিনেই যদি বাড়ে সমাজের এমন জঘন্য লীলা খেলা,
নষ্ট হয়ে কেন রে সবাই তবে আবার থাকতে চাও ভালা ?  
আমার বড় কষ্ট লাগে; দেখে তোমাদের এসব ছোলাকলা ।
থাকতে পারিনা রে কিছুতেই আর; মুখে দিয়ে বীচি কলা,
তাইতো, অগত্যায় আজ আমি হয়েছি এক কবি চাঁছাছোলা ।।  


রচনাকালঃ- ২০১৫ ।