হে স্বাধীনতা নিদারুণ বেদনা বিঁধুরভাবে তোমাকে
হারিয়েছিলাম সেই পলাশীর প্রান্তরে ।
দুই শতাধিক বছর গোলামীর পর তোমাকে ফিরে
পেতে প্রত‍্যয় জেগেছিল এই অন্তরে ।
হ‍‍্যাঁ ফিরে পেয়েছি তোমায় তবে বিনিময়ে দিয়েছি  
স্বজনের লাশের পাহাড় ও রক্তনদী ।
যদিও আজও বইয়ে দিয়ে যাচ্ছি সেই রুধিরধারা
নিজেরই দখলে রাখতে রাষ্টীয় গদি ।


স্বাধীনতা তোমায় ফিরে পেয়েছি বটে যেন সমুদ্র
তটে নির্মিত বালুঘরের মতো ।
জোয়ার ভাটায় যে ঘর ভেঙ্গে যায় আমরাও আছি
হায় তেমনি আশংকায় অনবরত ।
তোমাকে পেয়েছি ফিরে ভেঙ্গেচুঁড়ে বহুধা বিভক্তে
ফিরে যে আর পাইনি সেই অখণ্ডতা ।
ফিরেও পেয়েছি জগৎ শেঠ-উর্মিচাঁদ-রাজ বল্লভ-
মীরজাফর-ঘসেটি বেগমের পাষণ্ডতা ।


দখলদারদের কাছে তালিম নিয়ে তোমাকে চায়
কুক্ষিগত করে রাখতে দেশী দস্যুদল ।
তোমার অধিকার ফিরে না পেতে আর বিশৃঙ্খলা
জিইয়েই রাখছে ঐ সকল উশৃঙ্খল ।
হে স্বাধীনতা তুমি এসেছ যখন ফিরে এতটা বছর
পরে তবে এবার দাওনা দুদণ্ড শান্তি ।
তুমি আমার ছিলে আমারই থাকবে চিরকাল, তাই
তোমায় নিয়ে আর চাইনা বিভ্রান্তি ।


রচনাকালঃ- রাত ১১.৫১টা, ১১ চৈত্র ১৪২৮, ২৫ মার্চ ২০২২, মিরপুর, ঢাকা  ।