ছিলাম আমি ভোলাভালা বাংলার এক চাষার পোলা ।  
দিলে ব্যথা পেয়ে যে হলাম আজকে কবি চাঁছাছোলা !
নিজের ক্ষেতে নিজেই বুনে খাই
কাউকে ভয়ডর করিনা তো তাই
শুধু ব্রত আমার সৎ পথে চলা আর সত্য খুলে বলা ।  
ভাবিনা মোটে তাতে কেবা কাটে কাটুক আমার গলা !  


দেখ না রে কি করে আমার ঐ কৃষাণী মা আর খালা ?  
তারা খেয়ে না খেয়ে মাঠেঘাটে কাটে যে সারা বেলা ।  
হাড়ভাঙা কত না খেটেখুটে
গামছায় পাথর বেঁধে পেটে
তোরা লুটে লাল হলে ওদের জমানো টাকার ঝোলা !
জীবনভর কি ভরবে রে বালতি ফুটো থাকলে তলা ?


ছিলাম আমি ভোলাভালা এক বাংলার চাষার পোলা,
দিলে ব্যথা পেয়ে গো হলাম আজকে কবি চাঁছাছোলা !
তোরাও ছিলেরে ঐ মা'রই সন্তান
এখন বলছ উঁচু তোদের খানদান
আবার পুকুর চুরি করেও তোদের বুক ফুলিয়ে চলা !  
ঢুষ মেরে হুঁশ ফেরাব আমি চাষার পোলা চাঁছাছোলা ।


তোরা শুনবে না কথা কোন কালে বললে ঢিলেঢালা ।  
তোদের দিলে দাম সারবে যত কুকাম বানিয়ে অবলা !
ঐ কৃষাণী মা’র কামাই খেয়ে পড়ে
তোরা দানব হলে রে কেমন করে ?
হলেও দেখিরে হঠাৎ ফুলে ফেপে গাড়ী বাড়ী ওয়ালা !
এবার পোহাও রে তবে জীবনভর চাঁছাছোলার জ্বালা !  


ছিলাম আমি ভোলাভালা এক বাংলার চাষার পোলা ।
দিলে ব্যথা পেয়ে যে হলাম আজকে কবি চাঁছাছোলা !
ক্ষমতার দম্ভে শালা লেংটা নাচো
হাড়গোড় ভেঙ্গে বানাবোরে কেঁচো  
সময় থাকতে সব বুঝিয়ে দিয়ে এদেশটা ছেড়ে পালা ।
নচেৎ চেঁছেছুঁলে চামড়ায় দেবো নুন, আমি চাঁছাছোলা ।  


মোদের স্বাস্থ্য সুখ নষ্টে তোদের ষড়যন্ত্র বলছি খোলা ।  
তাই দুধ দই বদলে গিলাও ওই পেপসি কোকাকোলা ?
আমি মোটে ভয় করি না মরতে
জানি শুধু জানি যুদ্ধ জয় করতে
বরং তোদের হাতে মরলেই সবার দিলে দেবো দোলা !  
তখন জন্মাবে যে আরও হাজারো এই কবি চাঁছাছোলা !
  
ছিলাম আমি ভোলাভালা এক বাংলার চাষার পোলা ।
দিলে ব্যথা পেয়ে যে হলাম আজকে কবি চাঁছাছোলা !
তারা তোদের গুষ্টি করবে রে নিপাত
করবে বাংলা থেকে সমূলেই উৎখাত
ওরে ভালো হয়ে চলরে সবে এত জল না করে ঘোলা ।
নইলে চিরতরে হবে রে তোদের বাপের নামটি ভোলা !  


এমনে কথা কেমনে বলি তোরা যে সব জন্মের ঠোলা !    
সুড়সুড়ি দিয়ে বুঝনা কথা বুঝ দিলে ঝামা দিয়ে ডলা !  
আমি চাষার ছেলে বলেই নির্মোহী
তোরাই বাধ্য করলে হতে বিদ্রোহী
দেখে তোদের দেশজনতা নিয়ে খেলা এত ছলাকলা,  
পুড়িয়ে ছারখার করতেই তো আমি হয়েছি অগ্নিগোলা !

শব্দার্থ- পোলা = ছেলে, ঠোলা = বধির, খালা = মাসি ।


রচনাকালঃ- বেলা ৩.৩৭টা, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪২৭,
৯ জিলকদ ১৪৪১, ১ জুলাই ২০২০, মিরপুর, ঢাকা ।