যুগ যুগান্তরের দিক দিগন্তের এ পৃথিবীটার পথে
প্রান্তরের আমি দুঃসাহসী দুর্দমনীয় ভ্রমণকারী ।
ভ্রমনের নেশায় অপরূপ এই ধরণীটাকে অপলক
দেখার আশায় আমি দিনরাত্রি এক করে ছাড়ি ।


যাই যেথায় সেথাকার পরিবেশটাকে রাখি বজায়
হালাল খাদ্যের স্বাদ আস্বাদনের করি কিছু চেষ্টা ।
যতটা সম্ভব মেনে নিয়েই সব, সেথাকার পানীয়
জলেতেই মিতব‍্যয়ী বনে মিটাই বুকের তেষ্টা ।


আরোহণ করি পাহাড়ে, যাই সেই দুঃসাহসিক নৌ-
বিহারে ঘুরি সব বন-মরু গ্রাম-গঞ্জে শহরে-বন্দরে ।  
নিত্যান্ত কিছু নিয়ে সুবিধা মত পোশাক চেপে আমি
করি ভ্রমণ, ঘুরি না কভু আমার ঘরটা মাথায় করে ।


নিজেকে মোটেও করি না প্রদর্শন বরং দর্শক হয়ে
সবার অন্তরে প্রবেশের চেষ্টায় থাকি বরাবর লিপ্ত ।
ভ্রমণে নব নব দৃশ্য দর্শনে রোগ শোক সব ভুলেই
থাকি উদ্দীপ্ত, ক্লান্তিকে দিয়ে ছুটি তনুমন করি তৃপ্ত ।


আমি করি সর্বত্র ভ্রমণ উদার করে মন, শিক্ষালাভের
জন্য ভ্রমণের চাইতে নাই যে উৎকৃষ্ট কোনও কিছু ।
নবী বলেছেন, কাউকে জানতে হলে তার সাথে কর  
কিছু লেনদেন কিংবা ভ্রমণ কর খানিকটা তার পিছু ।


রচনাকালঃ- ১০.৩৪টা বৃহস্পতিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪২৬,
৩ সফর ১৪৪১, ৩ অক্টোবর ২০১৯, মিরপুর, ঢাকা ।