আমি আসলে নইকো  কবি
তোমাদের এই মহিমান্বিত কবিতার আসরে ।
আমি শুধু করি কিছু প্রলাপ
আর ক্ষোভাস্রিত উষ্মা প্রকাশ কবিতার স্বরে।


কবিতা লিখতে তাই হয়তো
আমার হতেই পারে কিছু না কিছু ত্রুটি ভুল।
আমাতে খুজিওনা গো কেউ
জসীম-জীবনানন্দ, মধুসূদন, রবি-নজরুল।


বাংলার বুকে তারা আজ  
হয়েছে স্বনামধন্য অনন্য সব প্রতিভাবান কবি।
সাধ্য আছে কি কারো
হবে প্রতিভাত যখনও দীপ্যমান নজরুল-রবি।


আমি অজ্ঞ তবে কৃতজ্ঞ
আসরের যত বিজ্ঞ নিরন্তর দিয়ে যাচ্ছে প্রেরনা।
মুগ্ধ আমি হয়েছি তাই
হতে পেরে তোমাদের এমন আপন এক জনা।  


সেবক নামক সব শোষক
স্বৈরাচারী যখন পদে পদে স্বেচ্ছায় সেজেছে নির্বাহী ।
তাদের সাথে সদ্ভাব করিনা
করিনা আঁতাত করি আমি প্রতিবাদ সেজে বিদ্রোহী ।


তাই, সবার কাছে ভাই
শুভকামনা, দোয়া-আশীর্বাদ আমি করছি আবদার ।
আমার মসি যেন অসি
হয়ে অন্যায় অবিচারের বিরদ্ধে যুদ্ধ করে দুর্নিবার ।


মজলুম জনতার জন্য আমি
সদা দেখি এক স্বাধীন সার্বভৌম ভূস্বর্গের মনছবি।
দ্বিধাহীন চিত্তে বলছি আজ
আমি নই কবি আমি পুনঃপুন জন্মানো সেই বিপ্লবী।।  


রচনাকালঃ- রাত ১.১৬টা
             শনিবার ০৯/০৬/২০১৮ ঢাকা ।


উল্লেখ্যঃ গত কালকের কবিতার আসরে শ্রদ্ধেয় কবি কবীর হুমায়ুন সাহেবের পরিচালনায় শ্রদ্ধেয় কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল সাহের সার্বিক সহযোগিতায় শ্রদ্ধেয়া কবি রুনা লায়লার সভাপতিত্বে এবং আসরের কবি শ্রদ্ধেয় ড. খলিলুর রহমান সারের স্পন্সরে এই মহিমানিত্ব অনুষ্ঠানটি ঢাকা মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলের ৮ম তলায় বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা অব্দি চলে বেশ জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে সফল সমাপ্তি হয়। সে সময়টাতে ব্যক্তিগত ভাবে আমি বাংলা-কবিতা ডটকমের সকল কবিদের অনুভব করি তাদের না আসতে পারার জন্য । আর এই কবিতাটা গত কালকের উদ্দেশ্যে লেখা এবং তা সেখানে পাঠ করে শোনানোর সুযোগ নিয়ে ছিলাম।